ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটি কাটিয়ে নগরবাসী রাজধানীতে ফিরতে শুরু করলেও ঢাকা শহর এখনো ফেরেনি তার চিরচেনা রূপে।
রাস্তার পাশের বেশিরভাগ দোকান, শপিং মল বন্ধ। সোমবার রাজধানীর রাস্তায় খুবই কম সংখ্যক যানবাহন চলাচল করতে গেছে। ঢিাকার অধিকাংশই রাস্তায় ফাঁকা ছিল।
সোমবার সরকারি, আধা-সরকারি ও বেসরকারি অফিসসহ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো খুললেও কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল কম।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি শেষে সোমবার খুলছে ব্যাংক, দোকানপাট-আদালত
ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোলাকুলির মাধ্যমে একে অপরকে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায়।
সকালে মালিবাগ, শান্তিনগর, গুলশান, ফার্মগেট, ধানমন্ডি, মিরপুর ও শাহবাগ এলাকায় স্বল্পসংখ্যক বাস ও ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. ইউসুফ বলেন, ‘এখনো শহরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। রাস্তায় কোনো যানজট বা বিশৃঙ্খলা নেই। রাজারবাগ এলাকা থেকে গুলশানে পৌঁছাতে মাত্র ৬ মিনিট সময় লেগেছে। অথচ অন্য সময় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট লাগে। এটি ঢাকাবাসীর জন্য সাময়িক স্বস্তির বলা চলে।’
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
ঈদ উপলক্ষে ১০, ১১, ১২ (বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার) ছিল সরকারি ছুটি। ঈদের পরে, ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং ১৪ এপ্রিল রবিবার পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাংলা নববর্ষের ছুটি ছিল।
তবে ঈদে ঢাকার বাইরে যাওয়া সরকারি-বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের অনেকেই ঐচ্ছিক ছুটি নিয়েছেন। ফলে অফিস-আদালত, ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।
এছাড়া স্কুল-কলেজও খুলবে আগামী সপ্তাহে। তারপরই চিরচেনা রূপে ফিরবে রাজধানী।
আরও পড়ুন: ঈদে চিকিৎসাসেবায় কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী