শনিবার রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক বাংলাদেশ রেলওয়ের সকল যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও, সাধারণ ছুটি প্রত্যাহারের পর সরকার যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনার নির্দেশনা প্রদান করেছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
রবিবার থেকে চালু হওয়া ট্রেনগুলো হলো- সুবর্ণ এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, কালনী এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, উদয়ন/পাহাড়িকা এক্সপ্রেস এবং চিত্রা এক্সপ্রেস।
এছাড়া আগামী ৩ জুন থেকে চলবে- তিস্তা এক্সপ্রেস, বেনাপোল এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস, রূপসা এক্সপ্রেস, কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, মধুমতি এক্সপ্রেস, মেঘনা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, উপকূল এক্সপ্রেস, ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস এবং কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘আপাতত ট্রেনের ৫০ শতাংশ টিকেট বিক্রি করা হবে এবং সকল ট্রেনের টিকেট অনলাইনে সংগ্রহ করতে হবে। কাউন্টারে কোনো টিকেট বিক্রি হবে না।’
তিনি বলেন, চলাচলের ক্ষেত্রে যাত্রীদেরকে সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সবাইকে আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় স্টেশন এলাকায় বা ট্রেনে প্রবেশ করতে হবে। ট্রেনের ভেতরে যাত্রীদের নির্দিষ্ট আসনে অবস্থান করতে হবে। বর্তমান স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার লক্ষ্যে ট্রেনে খাবার সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
যাত্রীদের প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানীয় সাথে নিতে হবে উল্লেখ করে নূরুল ইসলাম সুজন আরও বলেন, তাপমাত্রা পরিমাপের সুবিধার্থে যাত্রীদের ট্রেন ছাড়ার কমপক্ষে ৬০ মিনিট পূর্বে স্টেশনে পৌঁছাতে হবে। কোনো অবস্থাতেই টিকেট ছাড়া প্রবেশ করা যাবেনা। দর্শনার্থী/প্লাটফর্ম টিকেট বিক্রয় বন্ধ থাকবে এবং স্বল্পদূরত্বের যেমন- ঢাকা বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, নরসিংদীতে কোনো ট্রেন থামবে না।