রাজধানীর তুরাগ থানায় অস্ত্র আইনে করা মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে বাদলকে আইনের একটি ধারায় ১৫ বছর এবং আরেকটি ধারায় ১৫ বছর করে মোট ৩০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ মো. রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক-শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণার জন্য আজ সোমবার দিন নির্ধারণ করেন।
১১ মার্চ আদালত আবদুল মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এর আগে গত ১১ জানুয়ারি র্যাবের এসআই মেহেদী হাসান তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন।
অবৈধ অস্ত্র, জাল নোট ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে আবদুল মালেককে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
পড়ুন: অস্ত্র মামলায় গোল্ডেন মনিরের বিচার শুরু
এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ টাকার বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
তুরাগে গাড়িচালক আবদুল মালেকের রয়েছে ২৪টি ফ্ল্যাটবিশিষ্ট দুটি সাততলা বিলাসবহুল বাড়ি। একই এলাকায় ১২ কাঠার প্লট। এছাড়া হাতিরপুলে ১০ তলা ভবনের নির্মাণকাজ চলছে।
অভিযোগ রয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রশাসনকে জিম্মি করে চিকিৎসকদের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতেন মালেক। চিকিৎসকদের বদলি-পদোন্নতিতেও ছিল তার হাত। নিয়োগ, বদলি ও পদন্নোতিতে তদবিরের নামে হাতিয়েছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। যার বদৌলতে অল্প দিনেই শতকোটি টাকারও বেশি অর্থ-সম্পদের মালিক হন এই মালেক ড্রাইভার।
আরও পড়ুন: অস্ত্র মামলায় স্বাস্থ্যের গাড়িচালকের ৩০ বছর কারাদণ্ড