স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার রোধ করতে জাতিসংঘ (ইউএন) তার সদস্য দেশগুলোকে পলিসি ও আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে।
রবিবার লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে ইউএনবির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের বিষয়টি বিশেষ ফোকাস পেয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, ইউএনজিএ স্বাস্থ্য বিষয়ে আলোচনায় কয়েকটি সেশন ছিল, সেখানে আমি অংশগ্রহণ করেছি এবং বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স বিষয়টা অর্থাৎ পৃথিবী জুড়ে যত্রতত্র এন্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে প্রেসক্রিপশন না করে। এন্টিবায়োটিক গুলো ব্যবহার হচ্ছে বিশেষ করে মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে অর্থাৎ দরিদ্র রাষ্ট্রগুলো আছে সেখানে এটি বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দেশেই স্থানীয়ভাবে করোনা টিকা তৈরির প্রচেষ্টার অগ্রগতি হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার এত ব্যাপক হওয়ার একটি কারণ হল প্রচুর ওষুধ কাউন্টারে বিক্রি হয়।
তিনি বলেন, যে কেউ কোনো প্রেসক্রিপশন না দেখিয়ে সরাসরি ওষুধের দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কিনতে পারেন। এই ধরনের অত্যধিক ব্যবহারের কারণে লোকেরা অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের বিকাশ করছে, যার অর্থ অ্যান্টিবায়োটিকগুলো যে অসুস্থতার জন্য এটি সেবন করা হয় তা নিরাময় করতে পারে না। এর ফলে সারা বিশ্বে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে অসুস্থতায় নয়, অতিরিক্ত ওষুধ সেবনে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ অধিবেশনে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রশংসিত হয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনায় আমাদের সাফল্য সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়া আমরা যেসব ওষুধ উৎপাদন ও রপ্তানি করি সেগুলোও প্রশংসিত হয়েছে। আমরা একটি ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করেছি যাতে আমরা স্বাস্থ্য খাতে আমাদের অর্জনগুলো তুলে ধরেছি, যা ভালোভাবে সমাদৃত হয়েছেল। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে প্রতিক্রিয়া বেশিরভাগই ইতিবাচক ছিল।
অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সকে ভয়ঙ্কর ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ নতুন অ্যান্টিবায়োটিক উদ্ভাবনের ওপর জোর দিয়েছে যা বিদ্যমান অ্যান্টিবায়োটিকগুলোর চেয়ে বেশি কার্যকর।
মন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের অধিবেশনে সদস্য দেশগুলোকে যথাযথ উপায়ে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া কেউ যাতে অ্যান্টিবায়োটিকের মতো ওষুধ না পায় তা নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩ অক্টোবর থেকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ বন্ধ হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী