আইটি ব্যবসায়ীদের তথ্য আদান-প্রদানে ম্যাচমেকিংয়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ-ইইউ আইটি কানেক্ট প্ল্যাটফর্ম তৈরির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এর রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি মঙ্গলবার আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সাক্ষাতকালে এ আগ্রহের কথা জানান।
এছাড়াও বৈঠকে ইইউ এর ‘হরাইজন’ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের ট্যালেন্টেড স্টুডেন্টদের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন বিষয়ে স্কলারশিপ প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ইইউ’র মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর বিষয়ে একমত হন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার চারটি পিলার নির্ধারণ করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। গত ১৩ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিভিন্ন সময়োপযোগী ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দেশের আইসিটি খাত একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। প্রতিবছর প্রায় ২০ লক্ষ তরুণ-তরুণী কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছে। অনলাইন শ্রমশক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশের প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ ফ্রিল্যান্সার আউটসোর্সিং খাত থেকে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছে। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতির দিকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ডব্লিউএফপি’র নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি বাংলাদেশ
পলক চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় প্রযুক্তিনির্ভর জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে অগমেন্টেট রিয়েলিটি (এআর), ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) ও রোবটিক্সসহ নতুন নতুন টেকলোজি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে দেশে ৩০০টি স্কুল অব ফিউচার এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে আইটি/আইটিইএস খাতে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করা, শতভাগ ইন্টারনেট ও সরকারি সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। তিনি আইসিটিসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইইউ-বাংলাদেশ যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে সহায়তা কামনা করেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, অল্প সময়ে বাংলাদেশের আইসিটি খাতসহ বিভিন্ন খাতের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে আরও এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে ইইউ পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করেন।
এসময় অন্যান্যোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ’র কাউন্সিলর মারিজিও সিয়ানসহ আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ভারতের ইমিগ্রেশন খুলে দেয়া হবে: দোরাইস্বামী
আসিয়ানের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী