বাংলাদেশকে ভৌগোলিকভাবে আসিয়ানের নিকটতম প্রতিবেশী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুরুত্বপূর্ণ এই আঞ্চলিক সংস্থার সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পৃক্ততা আরও জোরদার করার গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এ সময় বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ‘দ্রুত, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ’ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে আসিয়ানের পক্ষ থেকে আরও জোরালো সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশটির প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো রোয়া দুতের্তেকে দেয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক অর্জনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই বিশ্ব নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রেসিডেন্ট দুতার্তে বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম সফল অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হওয়ার মাধ্যমে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চল ও এর আশপাশের অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
আরও পড়ুন: ডি-৮ এর শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোট হওয়ার সক্ষমতা রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
দুই নেতা আগামী ৫০ বছর বা তার পরেও দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের যৌথ যাত্রাকে আরও জোরদার করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এ সময় শেখ হাসিনা ১৯৭২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশকে ফিলিপাইন সরকারের স্বীকৃতির কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
ফিলিপাইনের বন্ধুপরায়ণ সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ১৯৭৩ সালে টোকিও থেকে ফেরার পথে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যানিলায় যাত্রাবিরতির কথাও আবেগভরে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
দুই নেতা গত পাঁচ দশকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা, পর্যটন, সাংস্কৃতিক বিনিময়, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ ইত্যাদিসহ বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে যে দৃঢ়, সহযোগিতামূলক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তার প্রশংসা করেন।
বন্ধুপরায়ণ দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই দুই নেতা।
অন্যদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র সচিব তেওডোরো এল লোকসিন জুনিয়র বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বার্তা বিনিময় করেছেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা সাধারণ পরিষদ সভাপতির