বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য ফল ও মিষ্টান্ন পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (২৩ জুন) বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর গজনবী রোডের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তার প্রোটোকল অফিসার-২ মো. আবু জাফর রাজু এবং প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে উপহারগুলো তুলে দেন।
প্রতিটি রাষ্ট্রীয় দিবস ও উৎসব- যেমন স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ঈদ ও বাংলা নববর্ষের দিনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তাদের স্মরণ করে উপহার পাঠানোয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন তারা।
এছাড়াও স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মত্যাগ এবং দূরদর্শী নেতৃত্ব শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন তারা।
মুক্তিযোদ্ধারা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাঙালিদের মুক্তিসংগ্রামের বিভিন্ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ভূমিকা তুলে ধরেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অদম্য সাহসিকতা, অস্ত্র ও বিস্ফোরক দিয়ে অপারেশন করার প্রশিক্ষণ ও বাস্তব অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন তারা।
যুদ্ধ ময়দানে হারানো সহযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ করে তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন মুক্তিযোদ্ধারা।
তারা বলেন, দেশের আপামর জনসাধারণ জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে মুক্তিসংগ্রামের দিকনির্দেশনা পেয়েছিল এবং ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে অস্ত্র হাতে নিয়ে পাকিস্তানিদের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করার প্রত্যয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
এ সময় জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যার দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা প্রকাশ করেন মুক্তিযোদ্ধারা।
স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা এবং তাদের সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে পুনর্বাসনের জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন তারা।
দেশের অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলে দেশের প্রান্তিক মানুষের কল্যাণ হয় এবং মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার ভালো থাকে।
মুক্তিযোদ্ধাদের বর্ধিত হারে ভাতা প্রদান, চিকিৎসা ও আবাসনের সুব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ একদিন জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এবং আত্মমর্যাদাশীল ‘সোনার বাংলাদেশ’ অর্থাৎ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বলে আশা প্রকাশ করেন মুক্তিযোদ্ধারা।