আগামী বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে ৩০০টির মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে প্রচলিত ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁও এলাকার নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে নির্বাচনী সংস্থার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। আবার একটি নির্বাচনী এলাকায়ও ব্যবহার হতে পারে।’
আরও পড়ুন:ইসি সংলাপ: ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোটের প্রস্তাব আ.লীগের
তিনি আরও বলেন, কমিশনকে ১৫০টি নির্বাচনী এলাকায় মেশিন ব্যবহারের জন্য আরও ইভিএম কিনতে হবে। সুতরাং, মেশিন ক্রয় সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১৫০টি নির্বাচনী এলাকায় ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি কর্মকর্তা বলেন, গত জুনে রাজনৈতিক দলগুলোর ইসির সঙ্গে সংলাপে রাখা সুপারিশগুলো বিবেচনায় নিয়ে সব দিক বিশ্লেষণ করে কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, এখন ইসির কাছে ৭০-৭৫টি আসনে নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট দেড় লাখ ইভিএম রয়েছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৈঠকে আরও ইভিএম সংগ্রহের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশগ্রহণকারী প্রায় অর্ধশত রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সমর্থন করলেও বাকিরা এর বিরোধিতা করে।
তবে সংলাপে না আসা বিএনপি ও তার জোট সদস্যরা জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করছে।
আরও পড়ুন:নির্বাচন বাঁচিয়ে রাখতে না পারলে রাজনীতি উধাও হয়ে যাবে: সিইসি