প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, ‘জনগণ তাদের ভোট দেবে, জনগণ তাদের ভোটের একমাত্র মালিক হিসেবে তারা যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবে। আর যে জনগণের ভোট পাবে সে সরকার গঠন করবে।’
বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় হিলটন হোটেলে আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সংক্রামক রোগ থেকে বিশ্বব্যাপী শিশুদের রক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে চলতি বছরের ডিসেম্বরে অথবা আগামী জানুয়ারিতে বাংলাদেশে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে কারচুপি করা হবে বলে ভোট বর্জনের অঙ্গীকার করেছে, যদিও সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এর পরিবর্তে বিরোধী দলটি নির্বাচন আয়োজনের জন্য নিরপেক্ষ প্রশাসনের পথ প্রশস্ত করতে শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগ দাবি করে।
শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু বিএনপি এটা ভালো করেই জানে যে তাদের খারাপ কর্মকাণ্ডের জন্য তারা জনগণের কোনো ভোট পাবে না এবং সে কারণে তারা এখন নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে পিছু হটার বাহানা খুঁজছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আসলে তারা (বিএনপি) চোরের ও ভোট কারচুপিকারীদের দল। ভোট ডাকাতি করা ছাড়া তাদের পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ তাদের আর চায় না এবং সে কারণে তারা জনগণের কাছ থেকে ভোট পায় না।’
সরকার পতনের জন্য বিএনপির বারবার হুমকি প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার অতটা দুর্বল নয়।
নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে বিএনপির দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবদানের জন্য প্রিন্স রহিম ও আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ককে প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ