জাপান ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীতে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, জাপান প্রত্যাশা করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২২ সালে জাপানে আনুষ্ঠানিক সফর করবেন।
১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২ এই দিনে বাংলাদেশ ও জাপান তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাপানের রাষ্ট্রদূত নাইকো বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সাথে সাক্ষাৎকালে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার আশ্বাস জাপানের
জাপানের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।এসময় তিনি বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।
প্রতিমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে ক্রমাগত সম্প্রসারিত দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ঢাকা ও টোকিও উভয় স্থানেই উপযুক্ত স্মারক অনুষ্ঠান আয়োজনে একমত পোষণ করেন।
রাষ্ট্রদূত নাওকি বলেন, ২০২২ সালে মেট্রো রেল লাইন ৬ এর উদ্বোধন ৫০ তম বার্ষিকীতে একটি যথাযথ অনুষ্ঠান হবে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন: বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করছে জাপান
এসময় তিনি আড়াইহাজার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আগামী বছর থেকে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের জাপানি এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ দেখতে পাবে বলে উল্লেখ করেন।
শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশে অব্যাহত উন্নয়ন সহায়তার জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং দুই দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আরও বেশি জাপানি বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করেন।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রতি অব্যাহত সহায়তার জন্য জাপান সরকারের প্রশংসা করেন। এসময় তিনি এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের অপরিহার্যতা তুলে ধরেন।
তিনি জাপানের প্রতি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য মিয়ানমারে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রাজি করার জন্য তাদের ক্ষমতা ব্যবহার করার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত নাওকি মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনে জাপান সরকারের অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থন দেবে: মিয়া সেপ্পো