তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতিসংঘের সঙ্গে যৌথভাবে আমরা বঙ্গবন্ধু ও শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের স্মরণে স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করেছি। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের বার্ষিকীতে প্যারিসভিত্তিক জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো যৌথভাবে জন্মশতবার্ষিকী পালনসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে যার সবকিছুই আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে বাংলাদেশের মর্যাদার স্বীকৃতি।’
আরও পড়ুন: মহান বিজয় দিবস পালিত
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বাংলাদেশের গৌরবময় ৫০তম বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ একটি দায়িত্বশীল ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র এবং উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, জনগণের জীবন মান বৃদ্ধি, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় ও গঠনমূলক নেতৃত্বের কারণে জাতিসংঘেও আমাদের অবস্থান অত্যন্ত সম্মানের।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের তিন সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের সহসভাপতি নির্বাচিত রাবাব ফাতিমা
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের শর্তসমূহ পূরণ করেছে মর্মে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর মানবিকতা ও পদক্ষেপ সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা জাতিসংঘে যথাসম্ভব ভূমিকা রেখে চলেছি। ২০৩০ টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন, বিশ্বশান্তি রক্ষা, দারিদ্র্য দূরীকরণ বিষয়ক আলোচনা ও নারীর ক্ষমতায়নসহ অন্যান্য অনেক বিষয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সৈন্য ও পুলিশ প্রদানকারী দেশ হিসেবে জাতিসংঘে এক গর্বিত নাম।’
‘বাংলাদেশের এই সম্মান ও সাফল্যের ধারাবাহিকতা আমাদের ধরে রাখতে হবে,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপিত
জাতিসংঘে বাংলাদেশের নেতৃত্বশীল ভূমিকার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ‘আমরা ইউনিসেফ এর গভর্ণিং বডির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। বাংলাদেশ ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ এবং ইউএনওপিএসের নির্বাহী বোর্ডের সহ সভাপতি। এছাড়াও ইকোসক ও মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জাতিসংঘ ফোরামে বাংলাদেশ নির্বাচিত সদস্য হিসেবে ভূমিকা রেখে চলেছে।’
প্রবাসী বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কর্মকাণ্ড বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি করছে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের ফল ও মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
রেমিটেন্স প্রেরণ ছাড়াও প্রবাসীদের অর্জিত অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে সরাসরি দেশের উন্নয়ন তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্পসমূহের বাস্তবায়ন এগিয়ে নিতে আরও অবদান রাখার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
মিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন:মানবাধিকার সুরক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ: রাবাব ফাতিমা
কোভিড-১৯ মহামারিজনিত কারণে স্থানীয় নীতি ও নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব মেনে অনুষ্ঠানটি সংক্ষিপ্ত আকারে আয়োজন করা হয়।