তিনি বলেন, ‘এই বিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপিত হলে ঢাকা শহরের রাস্তা-ঘাট এবং খাল-বিলসহ যত্রতত্র ময়লা পড়ে থাকবে না। প্লান্টটি স্থাপিত হলে সেখানে প্রতিদিন তিন হাজার টন ময়লা-আবর্জনা প্রয়োজন হবে। এতো পরিমান ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করে বিদ্যুৎ প্লান্টে দিলে ঢাকা শহরে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ আর থাকবে না।’
এলজিআরডি মন্ত্রী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আমিনবাজারে ল্যান্ডফিল স্টেশন এবং গাবতলীর যান্ত্রিক ওয়ার্কশপ পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি জানান, রাজধানী ঢাকা শহরের প্রতিদিন গড়ে যে ছয় হাজার টন ময়লা-আবর্জনা তৈরি হয়, তা এখানে ব্যবহার করা হবে।
বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্লান্টকে স্বপ্নের প্রকল্প হিসাবে বর্ণনা করে এ প্রকল্পে কোনো ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।
বিদেশি একটি কোম্পানির সাথে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চুক্তি করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, চুক্তি হওয়ার ১৮ মাসের মধ্যেই বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। যদিও তারা এর থেকে কিছুটা সময় বেশি চেয়েছেন।
মন্ত্রী জানান, চুড়ান্ত চুক্তির সময় এ বিষয়টি ফয়সালা হবে। পরিবেশের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমিনবাজারে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্লান্টের পাশে একটি ইকো পার্কও নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত পরিকল্পনা অনুযায়ী রাজধানী ঢাকার দুটি সিটি করপোরেশনসহ দেশের সব শহর পরিষ্কার করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কাজ করছে এবং শিগগিরই এটি একটি পরিষ্কার শহর গড়ে তোলতে সহায়তা করবে।’
মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, শহর পরিষ্কার রাখার জন্য আধুনিক সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হবে।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনগুলোর অধীনে অবৈধভাবে দখলকৃত সব জমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুনরায় দখলমুক্ত করা হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম সাইদুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।