প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ত্রাণ বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে। একই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, বিদ্যুৎ লাইন মেরামত, কৃষি ও গবাদি পশু এবং সড়ক, বাঁধ ও ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজও চলছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিমুহূর্তে তথ্য নিচ্ছেন এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দিচ্ছেন।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি একই সাথে পর্যবেক্ষণ ও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সব জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তাদের সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সাথে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ও পরিচালকরা ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য জেলা প্রশাসকদের সাথে সমন্বয় করে কাজ শুরু করেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঈদের ছুটির সময়ও সক্রিয় থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। লোকডাউন পরিস্থিতে সরকারি ছুটির দিনেও সবসময় খোলা ছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
অনলাইন এবং অফলাইনে নিয়মিত ফাইল দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দিচ্ছেন।
এছাড়া, তিনি মন্ত্রিসভা,একনেক, বাজেট, ৬৪ জেলার সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিয়মিত সভা, সর্বশেষ গতকাল জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ও পরিচালকরা বিশেষ করে গত দুই দিন ধরেই উপকূলীয় এলাকার লোকজনদের নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া, তাদের খাবার ব্যবস্থা করা, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা ও চিকিৎসা কার্যক্রম চালু রাখার জন্য ব্যস্ত সময় পার করেছেন।