রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে সিঙ্গাপুর থেকে আরও সক্রিয় ভূমিকার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আসিয়ান কাঠামোর মধ্যে একটি সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির পক্ষে সিঙ্গাপুরের সমর্থনও চেয়েছেন তিনি।
বুধবার (১৬ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় স্থায়ী সচিব এবং সিঙ্গাপুরের আইন মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব লুক গো-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় তিনি বিষয়টি উত্থাপন করেন।
তারা বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে প্রস্তাবিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) শেষ করার গুরুত্বের ওপরও জোর দেন।
উভয় পক্ষই বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও উন্নত করতে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে এফটিএ-এর দ্রুত সমাপ্তির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে তৃতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশনে অংশগ্রহণকারী পাঁচ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন লুক গোহ।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে গ্রহণ করতে মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের পরামর্শকে না বলেছে বাংলাদেশ: মোমেন
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন এবং সিঙ্গাপুরের স্থায়ী সচিব লুক গোহ পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
তারা দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ও চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।
উভয় দেশের জনগণের মধ্যে সংযোগের গুরুত্ব উপলদ্ধি করেন তারা। কীভাবে এই মিথস্ক্রিয়াগুলো শক্তিশালী কূটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখছে উভয় কর্মকর্তাই সেটির ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: ব্রিকসে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি নির্ভর করছে সদস্যদের উপর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বাংলাদেশে সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগের প্রশংসা করেন এবং আরও অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে উৎসাহিত করেন।
তিনি বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে উপলব্ধ সুযোগের কথা তুলে ধরেন এবং পারস্পরিক সুবিধার সম্ভাবনার ওপর জোর দেন।
মন্ত্রী বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা জোরদার করার ব্যাপারে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
স্থায়ী সচিব এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী উভয়েই এই বৃদ্ধিতে তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং আরও সম্প্রসারণের জন্য যথেষ্ট সুযোগ চিহ্নিত করেছেন।
তারা বাণিজ্য অগ্রগতি চালনা করার জন্য বেসরকারী খাতের সম্পৃক্ততা এবং উদ্যোক্তাদের সহযোগিতার গুরুত্বের উপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে আরও বেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ