ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের নিউরো ট্রমা সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘তার স্বাস্থ্যের সকল প্যারামিটার উন্নতি হয়েছে এবং তিনি তরল খাবার গ্রহণ করছেন।’
তিনি শঙ্কামুক্ত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহেদ বলেন, এটা বলা মুশকিল।
ডান হাত অবশের বিষয়ে এই চিকিৎসক বলেন, ‘আমরা আশা করি, ফিজিওথেরাপিতে তার উন্নতি হবে, তবে কবে কতটুকু হবে, সেটা বলা কঠিন। হাতে ওনার শক্তি নেই, কিন্তু বোধ আছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহেদ বলেন, আমরা তাকে বেডে দেয়ার কথা চিন্তা-ভাবনা করছি। যেহেতু এখানে কিছু নিরাপত্তার প্রশ্ন আছে, সে জন্য আমরা তাকে এখনো এইচডিইউতেই রেখেছি। বুধবার মেডিকেল বোর্ড বসে সিদ্ধান্ত নেবে তাকে কেবিনে বা বেডে পাঠানো হবে কি না।’
গত বুধবার রাত আড়াইটার দিকে দুর্বৃত্তরা ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনওর বাসার নাইটগার্ডকে বেঁধে রেখে পেছন দিকের ভেন্টিলেটর ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে এবং ইউএনও ওয়াহিদা ও তার বাবা ওমরকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। পরে তারা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে আহতদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে ইউএনও ওয়াহিদার অবস্থার অবনতি হলে তাকে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
হামলার ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় প্রধান আসামিসহ ১০ জন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ।