প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার সমস্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তির আহ্বান জানিয়েছেন এবং এই নীতিকে সার্বজনীনভাবে পালিত হওয়া আবশ্যক জানিয়ে এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন।
সোমবার বিকালে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস সেমিহালের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
ফোনালাপে সেমিহাল বাংলাদেশ ও ইউক্রেনের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউক্রেন থেকে খাদ্য শস্যের নির্বিঘ্ন পরিবহনের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করে বলেন যে বাংলাদেশ চায় বিদ্যমান যুদ্ধ অতি দ্রুত অবসান হোক, যাতে পৃথিবীর ‘ব্রেড বাস্কেট’ খ্যাত ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য সহজেই খাদ্য ঘাটতির দেশগুলোতে পাঠানো যায়।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উদ্ভূত রপ্তানি সুযোগ কাজে লাগান: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের নেতৃত্বে ‘কৃষ্ণ সাগর শস্য উদ্যোগ’-এর প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান এবং এই উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি এই মহতী উদ্যোগ অব্যাহত রাখার বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী ডেনিস সেমিহাল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে; বিশেষ করে জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংগঠনে ইউক্রেনের পাশে থাকার জন্য অনুরোধ করেন।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন যে বাংলাদেশ জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য ও নীতি অনুযায়ী সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি সমস্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তিকে সমর্থন করেন এবং যা সকল ক্ষেত্রে সার্বজনীনভাবে পালিত হওয়া আবশ্যক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলমান যুদ্ধে সাধারণ জনগণ ও শিশুদের মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরাও যুদ্ধ থেকে উঠে এসেছি। যুদ্ধ কোনো পক্ষের জন্যই মঙ্গল বয়ে আনে না। বাংলাদেশ শান্তির নীতিতে বিশ্বাসী।’
পরিশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস সেমিহাল-এর সুস্বাস্থ্য কামনা করেন এবং ইউক্রেনের জনগণের কল্যাণ প্রার্থনা করেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানে মধ্যস্থতাকারী হতে পারে ভারত: ভারতীয় গণমাধ্যমকে মোমেন
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাশ: বাংলাদেশসহ ৩২টি দেশ ভোট দেয়নি