ইন্টারনেটের দাম কমাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) প্রস্তাবনা দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইআইজিএবি)। এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে ইন্টারনেটের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন আইআইজি খাত সংশ্লিষ্টরা।
সংগঠনের (আইআইজিএবি) পক্ষ থেকে বিটিআরসিকে গত ২৯ অক্টোবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে বিদ্যমান বাজারমূল্যের চেয়েও বিভিন্ন স্ল্যাবে দাম কমিয়ে বিটিআরসিতে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজের দাম কমাতে কাজ করছে বিটিআরসি: চেয়ারম্যান
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইআইজিএবির প্রস্তাবিত ব্যান্ডউইথের দাম কমানো হলে আইএসপিগুলো প্রতি মেগা ব্যান্ডউইথে ৫০ থেকে ৭৫ টাকা (বিভিন্ন স্ল্যাবে) কমাতে বা গ্রাহকের কাছ থেকে কম রাখতে পারবে। এতে করে গ্রাহকের ইন্টারনেট খরচ কমবে।
জানা গেছে, সরকারও ইন্টারনেটের দাম কমাতে কাজ করছে। এ ব্যাপারে উদ্যোগও গ্রহণ করেছে।
সোমবার(৪ নভেম্বর) একটি হোটেলে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের গুরুত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এমদাদ-উল বারী জানান, ইন্টারনেটের দাম কমাতে সরকার কাজ করছে।
এমদাদ-উল বারী বলেন, ইন্টারনেটের দাম পানির দরে হওয়া উচিত। ডিজিটাল সেবা সম্প্রসারণ করতে ইন্টারনেটের দাম কমাতেই হবে, যা নিয়ে কাজ করছে বিটিআরসি। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্যোগ নিলে ব্যান্ডউইথের দাম কমানোর বিষয়টি সহজ হতে পারে।
আইআইজিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারের হার বৃদ্ধি এবং প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেট পৌঁছানো এবং ব্যবহারকারী বাড়াতে আমাদের এই উদ্যোগ। সরকারও চাইছে ইন্টারনেটের দাম কমাতে। সরকারের সঙ্গে আমরাও উদ্যোগী হয়েছি। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে ইন্টারনেটের দাম কমবে। সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইআইজি খাতে ব্যান্ডউইথ (বিভিন্ন স্ল্যাবে) যে মূল্য বিক্রি হচ্ছে সেই দর নির্ধারণ হয়েছে ২০২১ সালে। ৩ বছরের বেশি সময় পার হয়েছে। এখনও সেই দামে ব্যান্ডউইথ বিক্রি হচ্ছে। এই মূল্য রিভিউয়ের সময় হয়েছে। মূল্য রিভিউ হলে ইন্টারনেটের দাম কমবে।
আরও পড়ুন: মোবাইলে কলরেট হ্রাস ও মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট চালুর আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের