ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশের কৌশল কি হবে তা নিয়ে বর্তমান সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
বুধবার ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) সম্মেলন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা ইন্দো-প্যাসিফিক সম্পর্কে আমাদের কৌশল পরিষ্কার করব। এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তারা এই অঞ্চলে কোনো একক দেশ বা গোষ্ঠীর আধিপত্যের পরিবর্তে একটি মুক্ত, শান্তিপূর্ণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল দেখতে চান।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের যৌথ বিবৃতি উল্লেখ করে বলেন, যেখানে ইন্দো-প্যাসিফিকের একটি অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ফ্রান্সে সরকারি সফরে যান।
আরও পড়ুন: সমুদ্র অর্থনীতির ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে এবং সকলের জন্য ভাগ করে নেয়া সমৃদ্ধিসহ একটি ‘মুক্ত, অবাধ, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক’ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য বাংলাদেশ এবং ফ্রান্স একই দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নিয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ মোমেন বলেন, কিছু দেশ ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল নিয়ে কিছু উদ্যোগ নিয়েছে এবং এই দেশগুলো তাদের নীতি আলাদাভাবে শেয়ার করছে।
তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, নিজেদের অবস্থান এবং ইইউতে থাকা কিছু দেশের নাম উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আইওআরএ- এর মতো একটি বৈঠকে ইন্দো প্যাসিফিক কৌশল (আইপিএস) বিষয়ে একমত হওয়া কঠিন হতে পারে।
তিনি বলেন, আইওআরএ-এর সদস্য দেশগুলো তাদের ধারণা শেয়ার করতে পারবে। আগামী জুলাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এবং ওই বৈঠকে আইওআরএর আইপিএস নির্ধারণ স্পষ্ট হবে।
আরও পড়ুন: যোগাযোগ প্রযুক্তি ও সমুদ্র অর্থনীতি নিয়ে বাংলাদেশের সাথে কাজে আগ্রহী মাদাগাস্কার
রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে মিয়ানমারকে শক্তিশালী বার্তা পাঠাবে ইন্দোনেশিয়া