তবে, এর আগে ২০১৯ সালের ৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ভর্তি প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রতিটি বিভাগে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে বলে ইবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এম আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ইবির একাডেমিক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বুধবার জানিয়েছেন, এ বছরের পরীক্ষায় মোট ১১০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন। তাদের মধ্যে এমফিল পরীক্ষায় ৫৬ জন এবং পিএইচডি পরীক্ষায় ৫৪ জন অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: ইবি শিক্ষককে হত্যার হুমকির ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন
বঙ্গবন্ধুর নামে বানান ভুল: ইবি রেজিস্ট্রারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
শিক্ষককে হত্যার হুমকি: পদ হারালেন ইবির সহকারী প্রক্টর
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে মোবাইল ফোনে প্রার্থীদের নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য মোবাইল ফোনে বার্তা পাঠিয়েছেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত শাপলা ফোরামের একদল শিক্ষক অভিযোগ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একাডেমিক কাউন্সিল সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা না করেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তাদের অভিযোগ, ২০১৯ সালের ৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত আগের ভর্তি পরীক্ষার প্রক্রিয়া এখনও শেষ করতে পারেনি। ওই পরীক্ষার সুরাহা না করে নতুন করে এই পরীক্ষা নিতে পারেনা।
বিধি অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় স্নাতকোত্তর ভর্তি পরীক্ষা কমিটির (পিএটিসি) মাধ্যমে এমফিল এবং পিএইচডি ভর্তি পরীক্ষা নিতে হবে। তবে, এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ নিজ বিভাগে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্তে ইবি শিক্ষকদের অসন্তোষ
বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি ফেলোশিপ পেলেন ইবির ২৬ শিক্ষক
করোনার ছুটির মধ্যে পরীক্ষা নেবে ইবি
ইবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক কাজী আখতার হোসেন ইউএনবিকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে একাডেমিক কাউন্সিল সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত ছিল।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইবি উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।