বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে একত্রে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষে ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোসি’র সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে ইরানের প্রতি এ আহ্বান জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবেই বাংলাদেশের সঙ্গে ইরানের বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক রয়েছে। সেই সঙ্গে দেশটি মধ্যপ্রাচ্যে বাণিজ্যের অন্যতম অংশীদার। বাংলাদেশ ইরান থেকে আমদানির চেয়ে রপ্তানি বেশি করলেও এর পরিমাণ খুব বেশি নয়।’
আরও পড়ুন: ভুটান-বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তি সই: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন. ‘এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুই দেশেই ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ইরান ওআইসির (অরগানাইজেশন অব ইসলামিক করপোরেশন) সদস্য। আবার উভয় দেশেই ডি-৮ এর অন্যতম সদস্যরাষ্ট্র। দ্বিপক্ষীয় ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০০৬ সালে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির পাশাপাশি ২০২২ সালে দুই দেশ দ্বৈত শুল্ক পরিহারেও চুক্তি সই করে।’
এসময় দ্বৈত শুল্ক পরিহার চুক্তিটি অনুসমর্থন করার জন্য ইরানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ জানান তিনি।
উভয় দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী ইরান-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন।
সৌজন্য সাক্ষাতকালে ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোসি বলেন, ‘বাংলাদেশ ইরানের পুরনো ও বিশ্বস্ত বন্ধু-প্রতীম দেশ। উভয় দেশেই প্রাচীনকাল থেকেই সাংস্কৃতিক বন্ধনে আবদ্ধ। এ সম্পর্ক প্রতিনিয়ত আরও সুদৃঢ় হচ্ছে।’
বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা ও সম্ভাবনা কাজে লাগানোর মাধ্যমে দুই দেশের জনগণই লাভবান হচ্ছে এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বের কারণে অর্থনৈতিক সকল সূচকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধিসহ এগিয়ে যাওয়ার প্রশংসা করেন ইরানি রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে আন্তর্জাতিক মানের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মিত হচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
টিসিবির কাজের অসঙ্গতি দূর করতে ১ কোটি পরিবারকে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী