ঈদুল ফিতরের আগে প্রবাসীরা দেশে নিজেদের পরিজনদের কাছে অতিরিক্ত অর্থ পাঠানোর কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি এপ্রিল মাসে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি রেমিটেন্স পাওয়ার আশা করছে।
শনিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ১-২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংক থেকে মোট এক দশমিক ৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছে। সাধারণত প্রবাসীরা ঈদের সময় অতিরিক্ত অর্থ পাঠায় এবং এপ্রিলের বাকি দিনগুলোতে তিনি ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি রেমিটেন্স পাওয়ার আশা প্রকাশ করেন।
গত বছরের মে মাসে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রবাসীরা দুই দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন।
২০২২ সালের মার্চ মাসে প্রবাসীরা এক দশমিক ৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিল।
আরও পড়ুন: শনিবার সারাদেশে ব্যাংক খোলা থাকবে
২০২২ অর্থবছরের শেষ নয় মাসের রেমিটেন্স প্রবাহ ২০২১ অর্থবছরের শেষ নয় মাসের তুলনায় কিছুটা হ্রাস পাওয়ার প্রবণতা দেখা গেছে।
বাংলাদেশ জুলাই মাসে এক দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার, আগস্টে এক দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার, সেপ্টেম্বরে এক দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার, অক্টোবরে এক দশমিক ৬৪বিলিয়ন ডলার এবং নভেম্বরে এক দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার, ডিসেম্বরে এক দশমিক ৬৩ বিলিয়ন, জানুয়ারিতে এক দশমিক ৭০ বিলিয়ন, এবং ফেব্রুয়ারিতে এক দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে।
২০২১ অর্থবছরের একই সময়ে জুলাই মাসে দুই দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার, আগস্টে এক দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার, সেপ্টেম্বরে দুই দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার, অক্টোবরে দুই দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার, নভেম্বরে দুই দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার, ডিসেম্বরে দুই দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলার, জানুয়ারিতে এক দশমকি ৯৬ বিলিয়ন ডলার, ফেব্রুয়ারিতে এক দশমিক ৭৮ বিলিয়ন এবং মার্চ মাসে এক দশমিক ৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স লাভ করে।