পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তারা ‘অবাধ, সুষ্ঠু, অহিংস ও স্বচ্ছ’ নির্বাচন দেখতে চান এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ার লক্ষ্য অর্জন করতে চান।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে নিজ বাসভবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিশেষজ্ঞদের দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সারা বিশ্ব থেকে সবাই এসে দেখুক। এমন নির্বাচন হবে যা দেখে দুনিয়ার সবাই শিখবে।’
মোমেন বলেন, ‘সফররত ইইউ দল শুধু আমার কথা শুনেছে। কারণ তারা কয়েকটি বিষয় জানতে চেয়েছিলেন, তবে নির্বাচন সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রে নির্বাচনের বিকল্প নেই: ড. মোমেন
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ এবং অত্যন্ত শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন রয়েছে। যা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে।
ইইউ দলের কাছে বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেপ্তার করেনি, বরং 'সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে' জড়িতদের গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি সিসিটিভি ফুটেজ এবং বিএনপির কিছু সমর্থকদের দেওয়া বিবৃতি টেনে উল্লেখ করেন, কারা তাদের অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালানোর নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: শুধু দেশ নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যেও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ড. মোমেন
মোমেন বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি। শুধু অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা সন্ত্রাস সহ্য করতে পারি না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিছু বড় দেশ চায় বাংলাদেশ তাদের কাছ থেকে জিনিসপত্র কিনুক, কিন্তু বাংলাদেশ জনস্বার্থ দেখে।
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধু দেখি আমাদের দেশের মানুষের মঙ্গল যেটাতে হবে সেটা করি। তারা জোর করে, আমাদের কাছে বিক্রি করতে চায়, আমরা কিনি না। সেজন্য তারা আমাদের ওপর কিছুটা অসন্তুষ্ট। কিন্তু আমরা নীতির ওপর আছি। নীতিতে থাকলে অন্যরা শ্রদ্ধা করে।’
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'সোনার বাংলা' ও 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ার আকাঙ্ক্ষার কথাও তুলে ধরেন।
মোমেন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের কথা উল্লেখ করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই। আমরা স্থিতিশীলতা চাই। আমরা সন্ত্রাস চাই না। আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা চাই। আমরা গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা চাই। আমরা আরও চাকরির সুযোগ চাই।’
আরও পড়ুন: এই বড়দিনে ফিলিস্তিনি খ্রিস্টানদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি: মোমেন