বড়দিনকে উদযাপন, প্রতিফলন ও ঐক্যের সময় হিসেবে বর্ণনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এই উদযাপন ভালোবাসা, সহানুভূতি ও ঐক্যের সার্বজনীন মূল্যবোধের স্মারক হিসেবে কাজ করে, যা মানুষকে একত্রিত করে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘বড়দিন প্রেম ও উপলব্ধির চেতনায় বিভিন্ন পটভূমির মানুষদের একত্রিত করে। বিশ্বজুড়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে আমাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানানোর সময় আমাদেরকে এই উৎসবের সময়ে শান্তি ও সহানুভূতির তাৎপর্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।’
এই অনুষ্ঠানের তাৎপর্য উপলব্ধি করে মোমেন বলেন, ফিলিস্তিনে খ্রিস্টানরা যে মর্মস্পর্শী বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছে তা উপেক্ষা করা যায় না।
আরও পড়ুন: সিলেটের সব আসনেই জয়ী হবে আওয়ামী লীগ: মোমেন
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২২ সালের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে- পশ্চিম তীর, জেরুজালেম এবং গাজায় আনুমানিক ৫০ হাজার খ্রিস্টান ফিলিস্তিনি বাস করেন।
মোমেন বলেন, ‘এই বড়দিনে আমরা ফিলিস্তিনি খ্রিস্টানরা যেসব অনন্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন তার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। আমরা আমাদের গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করছি।’
তিনি বলেন, ‘যীশু খ্রীস্টের জন্মকে স্মরণ করার সময় আসুন আমরা তার প্রেম ও সহানুভূতির শিক্ষা থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করি। বড়দিনের চেতনা আমাদের এমন একটি বিশ্বের দিকে পরিচালিত করুক যেখানে বোঝাপড়া ও একতা বিরাজ করে।’
মোমেন উল্লেখ করেন, ‘প্রতিকূলতার মধ্যেও আশার আলো আমাদের পথকে আলোকিত করুক এবং ইতিবাচক পরিবর্তনকে উৎসাহিত করুক। অভাবগ্রস্তদের কাছে পৌঁছাতে, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে ও আশার বীজ বপন করতে বড়দিনের চেতনা আমাদের অনুপ্রাণিত করুক।’
আরও পড়ুন: জ্বালাও-পোড়াও-হত্যা কোনো সুষ্ঠু রাজনীতি নয়: ড. মোমেন