তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক হত্যার কথা জানি, আমরা আব্রাহাম লিংকন, জন এফ কেনেডিসহ বিশ্বের অনেক রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের কথা জানি। কিন্তু এমন নিষ্ঠুর, নির্মম, পৈশাচিক ও জঘণ্য হত্যাকাণ্ড কোথাও হয়নি।’
‘অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, শিশু রাসেল, বঙ্গমাতা কেউ বাদ যায় নি। এর চেয়ে মর্মান্তিক ও দুঃখজনক ঘটনা আর কি হতে পারে?, যোগ করেন তিনি।
সোমবার বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) আয়োজিত 'জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে চেয়েছিল দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা। সেই ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো তৎপর রয়েছে। সেজন্য, ১৫ই আগস্টের হত্যার পিছনে যারা ছিলো, সেসব কুশীলবদের চেহারা উন্মোচন করা দরকার।’
ইতোমধ্যে সেসব কুশীলবদের অনেকের চেহারা তাদের কথাবার্তা ও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে, একটি কমিশন গঠন করে সরকারিভাবে তাদের নাম লিপিবদ্ধ করা উচিত। লিপিবদ্ধ করে তাদের কুৎসিত চেহারা জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
ড. রাজ্জাক বলেন, ‘৭১’এর যুদ্ধাপরাধীরা মানবতাবিরোধী, এরা মানবতার শত্রু। এরা ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে চায়। ধর্মকে ব্যবহার করে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, আর্দশ ও ঐতিহ্যকে বিলুপ্ত করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় যে কায়দায় এরা হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতন চালিয়েছিল ঠিক একই কায়দায়, একই ধারায় দিবালোকে ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা করেছে, যুদ্ধের মতো। ১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা একইসূত্রে গাঁথা।’
বিএডিসি’র চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, বিএডিসি’র সদস্য সদস্য পরিচালক (অর্থ) মো. আমিরুল ইসলাম, সদস্য পরিচালক (ক্ষুদ্রসেচ) মো. আরিফ, সদস্য পরিচালক (সার ব্যবস্থাপনা) ড. এ কে এম মুনিরুল হক, সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান) মো. নূরনবী সরদার, সচিব মো. আনোয়ার ইমাম প্রমুখ।