প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বলেছেন, চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু আওয়ামী লীগের জন্য এক বিরাট ক্ষতি।
সংসদে শোক প্রস্তাবে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, দলের প্রতি তার আন্তরিকতা ও কর্তব্যপরায়ণতা এবং দেশের প্রতি দায়িত্ব ছিল, এটা আওয়ামী লীগের জন্য বড় ক্ষতি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতি তাকে চিরকাল মনে রাখবে। কারণ তিনি দল ও দেশের জন্য একজন নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি ছিলেন।
৭৫ বছর বয়সী এই সংসদ সদস্য রবিবার রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এবং জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশীদ ও মশিউর রহমান রাঙ্গা বক্তব্য দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও তিনি মোসলেম উদ্দিনকে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সভাপতি করেছেন।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জের আ.লীগ নেতা এমদাদুল হকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
তিনি বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতির মধ্য দিয়ে উঠে এসেছেন এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বা তার আগের আন্দোলনে তিনি সবসময় সক্রিয় ছিলেন। তিনি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।’
তিনি স্মরণ করেন, ১৯৭১ সালে অভিযানে মোসলেম উদ্দিন ও মহিউদ্দিন চৌধুরীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে যারা আন্দোলন করেছিল তাদের সঙ্গে ছিলেন মোসলেম উদ্দিন। তিনি সব আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।
অধিবেশনের শুরুতে সংসদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এক মিনিট নীরবতা পালন ও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন তরিকত ফেডারেশনের সংসদ সদস্য নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী।
পরবর্তীতে সংসদ সদস্যের মৃত্যুর কারণে প্রথা অনুযায়ী সংসদের বৈঠক মুলতবি করা হয়।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক তানজিম আনোয়ারের বাবার মৃত্যুতে ডিকাবের শোক