১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণের ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণ করে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে রবিবার (১৭ এপিল) যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শহিদুল ইসলাম কর্তৃক দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্ণারে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচী শুরু হয়। এ সময় দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দিনের অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিল মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত বানী পাঠ, দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভা এবং ‘মুজিবনগর সরকার’ শীর্ষক একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা এবং ত্রিশ লাখ শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি বলেন, মুজিবনগর দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য এক দিন এবং মুজিবনগর বাঙালি জাতির বীরত্বের প্রতীক।
পড়ুন: ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ
রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এদিন মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। পরে এই বৈদ্যনাথতলাকেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর নামকরণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রথম সরকার মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছে এবং স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক মতামতকে সুসংহত করেছে।
ডেপুটি চীফ অফ দি মিশন ফেরদৌসি শাহরিয়ার, মিনিস্টার (ইকোনোমিক) মেহেদি হাসান এবং কাউন্সিলর (পাবলিক ডিপ্লোমেসি) আরিফা রহমান রুমা আলোচনায় অংশ নেন।
এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের উত্তরোত্তর শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে একটি বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচী শেষ হয়।