মুজিবনগর দিবস
মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে তিনি রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে মুজিবনগর দিবসের কর্মসূচি শুরু
১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্গত মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পরবর্তীতে স্থানটির নাম পরিবর্তন করে মুজিবনগর রাখা হয়। প্রথম সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তাজউদ্দীন আহমদকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে মন্ত্রিসভার সদস্য করা হয়।
মূল মন্ত্রিসভার সফল নেতৃত্ব সেই বছরের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধকে বিজয়ের দিকে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: আগামীকাল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস
৭ মাস আগে
মুজিবনগর দিবস: বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি সোমবার সকালে ঢাকার ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘মুজিবনগর দিবস’ উদযাপন
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্গত মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা আম বাগানে প্রবাসে বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমানকে প্রবাসী সরকারের রাষ্ট্রপতি হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্থানটির নাম পরিবর্তন করে মুজিবনগর রাখা হয়।
বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পান সৈয়দ নজরুল ইসলাম। তাজউদ্দীন আহমদকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য করা হয়।
মূল মন্ত্রিসভার সফল নেতৃত্ব সেই বছরের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধকে বিজয়ের দিকে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে মুজিবনগর দিবস পালিত
১ বছর আগে
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘মুজিবনগর দিবস’ উদযাপন
প্রতিবারের মতো এবারও জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উদযাপন করা হয়েছে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, অনুষ্ঠানের শুরুতে মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদসহ এ সরকারের প্রয়াত সকল সদস্য, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদ এর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শুনানো হয়। মুজিবনগর সরকারের উপর একটি প্রামাণ্য ভিডিও প্রদর্শন করা হয় অনুষ্ঠানে।
মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য ও নামকরণের ইতিহাস তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার নেতৃত্বে ২৩ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রাম বাঙালি জাতিকে মহান মুক্তিযুদ্ধের দিকে পরিচালিত করেছিল আর ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের বাঙালি জাতি নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে শুরু করে। ঠিক সেসময়ে ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চ লাইটের নামে পাকিস্তানী বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। পরবর্তীতে ২৬ মার্চে জাতির পিতার স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে বাঙালি জাতি ঝাঁপিয়ে পড়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে। ১০ এপ্রিল গঠিত মুজিব নগর সরকার ১৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। তাই মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি ও আইনগত ভিত্তি স্থাপনে মুজিবনগর সরকারের কোন বিকল্প ছিলনা।’
পড়ুন: লস এঞ্জেলসে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে ‘মুজিবনগর দিবস’ উদযাপন
মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্ব, কৌশল ও সময়োপযোগী দিক-নির্দেশনার ফলে মুক্তিযুদ্ধ দ্রুততম সময়ে সফল সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যায় মর্মে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ‘মুজিবনগর সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করে বিশ্ব জনমতকে বাংলাদেশের পক্ষে আনা যা তারা অত্যন্ত সফলতার সাথে করতে পেরেছিল। এই সরকার বিশ্ব সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের পক্ষে আনতে বেশ কিছু সময়োযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাকিস্তানী দূতাবাসে কর্মরত বাঙালি কূটনীতিকরা যেন দ্রুত পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে মুজিবনগর সরকারের পক্ষে আনুগত্য প্রকাশ করেন, সে উদ্যোগ গ্রহণ করে।’
প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের মাঝে মুজিবনগর সরকারের ইতিহাস, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে আমরা স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করে যাবো, মুজিবনগর দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’
পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে মুজিবনগর দিবস পালিত
২ বছর আগে
দিল্লিতে মুজিবনগর দিবস পালিত
ভারতের নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে দিবসটি পালন করেছে।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিলে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার বর্তমান মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলায় (মুজিবনগর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি ও তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে শপথ গ্রহণ করে।
পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে আটক বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুলকে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি করা হয়।
মিশনে অনুষ্ঠিত এক সভায় বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদান এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন জোগাড় করার ক্ষেত্রে যে ভূমিকা পালন করেছিল তার তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: লস এঞ্জেলসে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে ‘মুজিবনগর দিবস’ উদযাপন
দিবসটি উপলক্ষে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান মিশনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।ড
২ বছর আগে
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে মুজিবনগর দিবস পালিত
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণের ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণ করে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে রবিবার (১৭ এপিল) যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শহিদুল ইসলাম কর্তৃক দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্ণারে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচী শুরু হয়। এ সময় দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দিনের অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিল মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত বানী পাঠ, দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভা এবং ‘মুজিবনগর সরকার’ শীর্ষক একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা এবং ত্রিশ লাখ শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি বলেন, মুজিবনগর দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য এক দিন এবং মুজিবনগর বাঙালি জাতির বীরত্বের প্রতীক।
পড়ুন: ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ
রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এদিন মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। পরে এই বৈদ্যনাথতলাকেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর নামকরণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রথম সরকার মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছে এবং স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক মতামতকে সুসংহত করেছে।
ডেপুটি চীফ অফ দি মিশন ফেরদৌসি শাহরিয়ার, মিনিস্টার (ইকোনোমিক) মেহেদি হাসান এবং কাউন্সিলর (পাবলিক ডিপ্লোমেসি) আরিফা রহমান রুমা আলোচনায় অংশ নেন।
এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের উত্তরোত্তর শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে একটি বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচী শেষ হয়।
২ বছর আগে
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন উপলক্ষে ১৭ এপ্রিল (রবিবার) ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হচ্ছে।
সকাল ৯টার দিকে মেহেরপুরের মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কেন্দ্রে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটি শুরু হয়।
পরে মুজিবনগরের আম বাগানে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজে মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ বাহিনী, বিজিবি, আনসার, ভিডিপির সদস্য, বিএনসিসি, স্কাউটস, গার্লস গাইডের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এই বছর সরকার মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় দিনটিকে সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মুজিবনগর দিবস: ১৭ এপ্রিল সরকারি ছুটি ঘোষণা মুজিবনগরে
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মুজিবনগর দিবসের প্রাক্কালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতি গঠনে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মুজিবনগর দিবসের ৫১তম বার্ষিকীতে জাতির পিতার মহান আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘আসুন আমরা সকল আশু ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলাদেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করি।’
বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করছে।
বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি রেডিও, টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে এবং জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরতে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে এবং বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে অনুরূপ কর্মসূচির আয়োজন করা হবে।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলায় স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়েছিল।
২ বছর আগে
কাল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস
আগামীকাল রবিবার পালিত হবে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। ১৯৭১ সালের এইদিনে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়েছিল।
সকাল ৯টায় মেহেরপুরের মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটি শুরু হবে।
পরে মুজিবনগরের আম বাগানে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজে মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ বাহিনীর সদস্য, বিজিবি, আনসার, ভিডিপি, বিএনসিসি, স্কাউটস, গার্লস গাইড ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেবেন।
এ বছর সরকার দিনটিকে মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন’ পাচ্ছেন ২ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মুজিবনগর দিবসের প্রাক্কালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতি গঠনে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলায় স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়েছিল।
২ বছর আগে
যুক্তরাজ্যে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
যথাযথ মর্যাদা ও ভাব-গাম্ভীর্যের সাথে বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের ৫০তম বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ স্মারক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট গবেষক, শিক্ষাবিদ, রাজনীতিক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব ড. মো. ফরাসউদ্দিন বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের অবদান বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য গৌরবগাথা হয়ে থাকবে।
তিনি মুজিবনগরে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার মতো একটি ‘লিবার্টি বেল’ (স্বাধীনতার ঘণ্টা) স্থাপন ও সেখানে প্রতি বছর এপ্রিল মাসে মন্ত্রিসভার একটি প্রতীকী বৈঠক অনুষ্ঠান করার প্রস্তাব করেন।
আরও পড়ুন: লকডাউনে বন্ধ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সেবা
এছাড়া তিনি মুজিবনগরে অবস্থিত বর্তমান যাদুঘরটি আরও সমৃদ্ধ করাসহ টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার ওপর এবং মুজিবনগরে মুজিবনগর সরকারের ওপর দুটি আলাদা গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের প্রস্তাব করেন।
মুজিবনগর সরকার গঠনের পটভূমি ও ভূকৌশলগত তাৎপর্য তুলে ধরে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃতে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত মুজিবনগর সরকার আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বপক্ষে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমর্থন আদায়, শরণার্থীদের ব্যবস্থাপনা ও মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল নির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’
হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মাথা উঁচু করে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলা একটি অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধশীল বাংলাদেশকে ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণের কর্মযজ্ঞে অংশ নেয়ার জন্য নতুন প্রজন্মের ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিশিষ্ট কলামিস্ট ও সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী মুজিবনগরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত সিনেটর অ্যাডওয়ার্ড কেনেডির সফরের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘অ্যাডওয়ার্ড কেনেডি মুজিব নগরকে ফিলাডেলফিয়ার সাথে তুলনা করেছিলেন যেখানে আমেরিকার স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়েছিল।”’
এ প্রসঙ্গে তিনি মুজিবনগরকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করে ফিলাডেলফিয়ার মতো কিছু সরকারি দপ্তর সেখানে স্থাপন করার আহ্বান জানান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির তার বক্তব্যে কুষ্টিয়ার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে মুজিবনগর সরকার প্রতিষ্ঠার রাজনৈতিক পটভূমির বর্ণনা করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় মুজিবনগর সরকারের ভূমিকার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: অটিজম সচেতনতায় সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস নীল আলোয় সজ্জিত
প্রখ্যাত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও অভিনেতা রামেন্দু মজুমদার মুজিবনগরকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেন এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রকে মুক্তিযুদ্ধের ১২তম সেক্টর হিসেবে উল্লেখ করে ৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের অসামান্য ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।
এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ, লন্ডন ভিত্তিক থিংকট্যাংক স্টাডি সার্কেলের সভাপতি ও যুক্তরাজ্যে ৭১-এর স্টুডেন্ট অ্যাকশন কমিটির সদস্য সৈয়দ মোজাম্মেল আলী, প্রবাসী ব্রিটিশ-বাংলাদেশি প্রগতিশীল নেতা সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন।
আরও পড়ুন:কাতারের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল সৌদি আরব
অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের ওপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় এবং এই ঐতিহাসিক দিবসের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রর্দশন করা হয়। যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে বসবাসকারী বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি এতে অংশ নেন।
৩ বছর আগে
মেহেরপুরে মুজিবনগর দিবস পালিত
সামাজিক দূরত্ব মেনে সংক্ষিপ্ত আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুক্রবার মেহেরপুরে পালিত হয়েছে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস।
৪ বছর আগে
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এটি অনন্য এক দিন।
৪ বছর আগে