যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহের সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে।
শনিবার দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুষ্ঠানের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহিদুল ইসলাম প্রধান অতিথি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মুখ্য উপসহকারী সচিব আরভিন মাসিঙ্গাকে সাথে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
এরপর রাষ্ট্রদূত ও আরভিন মাসিঙ্গা দূতাবাসে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রর জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ভিডিও বার্তা প্রদর্শিত হয়।
আরও পড়ুন: গ্রিসের ওলগায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ প্রবাসীদের পাশে দূতাবাস
আটকে পড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে নিতে বাহরাইনের প্রতি আহ্বান
রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম তার বক্তব্যে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মিয়ানমারের নিপীড়িত রোহিঙ্গা জনগণের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তা জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসা প্রকাশ করেন।
সমগ্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য নিরাপত্তা হুমকিতে পরিণত হওয়ার আগে প্রলম্বিত রোহিঙ্গা সঙ্কটের একটি স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নেতৃত্ব প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় আরভিন ম্যাসিঙ্গা বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশকে দেখছে।
আরও পড়ুন: প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূয়সী প্রশংসা পর্তুগিজ রাষ্ট্রপতির
প্রবাসীদের নিষ্ঠার সাথে সেবা দিন: কর্মকর্তাদের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মুখ্য উপসহকারী সচিব বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ একটি শীর্ষস্থানীয় কণ্ঠস্বর হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে বাংলাদেশের এই নেতৃত্ব একটি সফল জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন (কপ–২৬) অনুষ্ঠানে অবদান রাখবে।’
দুপুরে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এরপর দূতাবাস পরিবারের সদস্যদের পরিবেশনায় একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
এদিকে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও ৫০তম জাতীয় দিবসে শুভেচছা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি সংবাদ বিবৃতি প্রদান করেছে।
বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, ‘একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য আমরা একসাথে কাজ করার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক উন্নয়নে বাংলাদেশ যে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে তা অনস্বীকার্য।’
আরও পড়ুন: গ্রিসে বাংলাদেশ কমিউনিটির ঈদুল আজহা উদযাপন
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন।
শুভেচ্ছা বার্তায় বাইডেন বলেন, দশ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে মানবতা ও উদারতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
তিনি বলেন, সংকটটির স্থায়ী সমাধানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে থাকবে।