সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ধরনের কাজ (প্রবাসীদের কাছ থেকে টাকা নেয়া) থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়গুলোতে আমাদের অবস্থান খুব কঠোর। আমি চাই, সবাই এ বিষয়ে সচেতন থাকুক।’
বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনে ‘কাউন্সেলর/প্রথম সচিব (শ্রম)’ ওরিয়েন্টেশন কোর্সে মনোনীতদের সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তারা ত্রিপোলি (লিবিয়া), সিঙ্গাপুর, জেদ্দা (সৌদি আরব), দোহা (কাতার), কায়রো (মিশর), আবু ধাবি (সংযুক্ত আরব আমিরাত), অ্যাথেন্স (গ্রীস), মিলান (ইতালি), জেনেভা (সুইজারল্যান্ড),মস্কো (রাশিয়া) এবং করাচিতে (পাকিস্তান) অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনে যোগদান করবেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খন্দকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্মকর্তাদের সতর্ক করে বলেন, তারা যদি অবৈধ উপায়ে কোনো অর্থ উপার্জনের সাথে জড়িত হন, তাহলে তারা সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘কিছু লোক সহজ অর্থের কারণে মাঝে মাঝে টাকা সংগ্রহের (প্রবাসীদের কাছ থেকে) সাথে জড়িত হয়। আমরা মাঝে মাঝে এ ধরনের খারাপ সংবাদ শুনি। দীর্ঘমেয়াদে, তারা বাংলাদেশ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিদেশের মিশনগুলোর জন্য অসম্মান বয়ে আনে।’
ড. মোমেন বলেন, ‘তারা (প্রবাসী) টাকা না দিতে পারে, তবে তারা অন্তর থেকে দোয়া করবে। এই দোয়া একটি আশীর্বাদ হবে। এটি এতই শক্তিশালী হবে যে আপনি বেহেশতের আশা করবেন।’
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার মানুষকে ভালবাসতেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনি মানুষকে ভালবাসলে তারাও আপনাকে স্মরণ করবে। আপনি যদি ভালো সেবা দিতে পারেন তাহলে মানুষ আপনাকে স্মরণ করবে এবং সম্মান করবে।
অর্থনীতি এবং জনসাধারণের কূটনীতি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, গত ১২ বছরে বাংলাদেশ যেসব দুর্দান্ত কাজ করেছে সেই গল্প বিদেশে তুলে ধরতে সবার প্রতি আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, কর্মকর্তাদের অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং মানসম্পন্ন পরিষেবা প্রদান করতে হবে।
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, নারী কর্মীদের বিভিন্ন ইস্যুসহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জগুলো কর্মকর্তাদের গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে।
তিনি কর্মকর্তাদের মনে করিয়ে দেন যে, তারা করদাতাদের অর্থের ওপরই চলেন।
মানব পাচারের বিষয়ে সরকার জিরো টলারেন্স বজায় রেখেছে এবং এই সংক্রান্ত কিছু ঘটলে অবিলম্বে তা রিপোর্ট করার জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান পররাষ্ট্রসচিব।
তিনি বলেন, যে সকল কর্মকর্তারা বিভিন্ন মিশনে যোগ দিতে যাচ্ছেন তারা যোগ্য এবং অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের নির্বাচন করা হয়েছে।
ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর বলেন, এটি ঐতিহাসিক একটি জায়গা যেখান থেকে বঙ্গবন্ধুও দেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
নবনির্মিত ভবনে দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা কর্মকর্তাদের অভ্যর্থনা জানান তিনি।