কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলায় মঙ্গলবার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন ২৪টি দেশের সেনাপ্রধানরা।
এ সময় বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকরা আগত প্রতিনিধিদলকে সমস্যা ও সুপারিশসমূহ তুলে ধরেন।
১১ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি ওসমান গণি বলেন, আমরা তৃতীয় কোন দেশ নয়, আমাদের দেশেই ফিরতে চাই। সেনা কর্মকর্তাদের আমরা জানিয়েছি আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে আমাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরি করা হোক।
আরও পড়ুন: প্রত্যাবাসন ছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না
এছাড়াও সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দলকে ক্যাম্পে কর্মরত জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার ব্রিফিং করেন। এই পরিদর্শনের মাধ্যমে ২৪টি দেশের প্রতিনিধিরা বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের ক্যাম্পের বাস্তব চিত্র স্বচক্ষে অবলোকন করেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার ইনানীর একটি অভিজাত হোটেলে ‘ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারের দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন একমাত্র সমাধান: দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত
৪৬তম ইন্দো প্যাসিফিক আর্মি ম্যানেজম্যান্ট সেমিনারের (আইপিএএমএস) তিনটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী শান্তিরক্ষা, নারী ক্ষমতায়ন এবং আঞ্চলিক সহযোগিতায় ভূমি শক্তি।
গত সোমবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনদিন ব্যাপী এ সেমিনারের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: ‘আঁরা রোহিঙ্গা’ বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ এবং ২০১৪ সালের পর তৃতীয়বারের মতো সহ-আয়োজক হিসেবে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ এই আন্তর্জাতিক সেমিনার আয়োজন করছে বাংলাদেশ।