রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে জাপান।
বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, ‘এই সংকটের স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা আমাদের জন্য একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য সহায়ক হবে।’
তিনি বলেন, কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য উন্নত জীবনযাপনের জন্য জাপান সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে আরও সহযোগিতা করবে।
আরও পড়ুন:দশ বছর মেয়াদী ভিসা দিচ্ছে থাইল্যান্ড: কারা যোগ্য?
বর্তমানে কক্সবাজার ও ভাসানচর দ্বীপে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশে।
সোমবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে শিক্ষা কেন্দ্রে আয়োজিত পাঠ্যপুস্তক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে যোগ দেন নওকি।
অনুষ্ঠানে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) শাহ রেজওয়ান হায়াতের উপস্থিতিতে ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েটের কাছে জাইকা বাংলাদেশের সিনিয়র প্রতিনিধি কমোরি তাকাশি মিয়ানমারের ভাষার ব্যাকরণ, গণিত, ইতিহাস, সাধারণ বিজ্ঞান এবং অন্যান্য বিষয়ের মোট ৮১ হাজার পাঠ্যপুস্তক হস্তান্তর করা হয়।
মঙ্গলবার ঢাকায় জাপান দূতাবাস জানিয়েছে, জাপানের অর্থায়নে শেখার উপকরণগুলো মিয়ানমারের কারিকুলাম পাইলট বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহার করা হবে, যা ২০২০ সালের জানুয়ারিতে অনুমোদিত হয়।
কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে দেড় বছরেরও বেশি সময় পর শিক্ষাকেন্দ্রগুলো পুনরায় চালু হওয়ায় রাষ্ট্রদূত নাওকি আনন্দ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা আশা করি এই সহায়তা রোহিঙ্গা শিশুদের শেখার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে। আমি বিশ্বাস করি মিয়ানমারের ভাষা, ইতিহাস এবং সংস্কৃতি শেখা তাদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ যাতে তারা তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করার পরে সমাজের সাথে পুনরায় একীভূত হতে পারে।’
আরও পড়ুন:শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ না পেয়ে মোদি সরকারের সমালোচনায় মমতা
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, কম দামে রাশিয়ার তেল কেনার কথা ভাবছে ইন্দোনেশিয়া