স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা এখন ঊর্ধ্বমুখী। আমরা কিছুটা চিন্তিত। তবে শঙ্কিত নই, প্রস্তুত আছি।
তিনি বলেন, সংক্রমণ রোধে গত সপ্তাহে আমরা সভা করেছি। সেখানে কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। অফিস, স্কুলে গেলে মাস্ক পড়বেন। ট্রেনে-বাসে গেলে মাস্ক পরতে হবে। গত সপ্তাহে এ বিষয়ে অনুরোধ করেছি এবং কেবিনেটসহ বিভিন্ন জায়গায় চিঠি দিয়েছি। জনগণ এই নির্দেশনা পালন করবে বলে প্রত্যাশা করছি।’
বুধবার স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সঙ্গে আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা প্রধানদের সাথে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত দুই-তিন দিন ধরে দুই-তিনজন করে মারা যাচ্ছেন। আমরা আহ্বান জানাচ্ছি মানুষ যাতে ভ্যাকসিন নেয় এবং মাস্ক পরেন।
আরও পড়ুন: ওষুধের দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
মন্ত্রী বলেন, করোনার বৃদ্ধির হার গত ১৫ দিন অনেক কম ছিল। এখন অনেক বেশি। এটার লাগাম টেনে ধরত চাই। আমাদের একার পক্ষে সম্ভব নয়। জনগণের সচেতনা জন্য মাস্ক পরিধান করা জরুরি। সেটি হলে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, মাস্ক পরিধান করতে নির্দেশনা দিয়েছি। একটি চিঠি মন্ত্রপরিষদ থেকে দিয়েছে। আমাদের সুপারিশ থাকে মাস্কটা শাস্তি দিয়ে নয়, আহ্বান করব মাস্ক পরবে। তবুও ব্যত্যয় ঘটলে সরকার ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন ভ্যাকসিন, করোনা নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ কাজ। নতুন যেসব প্রকল্প নিয়েছি এবং যেসব নিয়োগ কার্যক্রম সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আমাদের তদারকিতে গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলে যেসব কাজ হাতে নেব সঠিক সময়, সঠিকভাবে সমাপ্ত করতে পারব। আমাদের বেশ কিছু অর্জন আছে, আমাদের সবাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছে। সেজন্য করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। আমাদের জনবলের যে ঘাটতি রয়েছে, তা পূরণ করতে হবে। প্রকল্প যেগুলো চলমান সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে সবচেয়ে কম দামে টিকা দিয়েছে বাংলাদেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, শিশুদের ভ্যাকসিন কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। শিশুদের জন্য করোনার ভ্যাকসিন জুলাই মাসের মাঝামাঝি পেয়ে যাবো। এটা হাতে আসলে ৫ থেকে ১২ ববছরের শিশুদের জন্য জুলাইয়ের শেষে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করতে পারব। সেজন্য যে ডকুমেন্টস প্রয়োজন সেগুলো শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সঙ্গে করতে হবে।