করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে হলে ফিরতে চায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সকল শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, অনার্স চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সসহ সব বর্ষের চলমান ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনের পর চলমান পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের দাবিতে ‘একাত্মতা’: খুবির এক শিক্ষক বরখাস্ত ও দুজন অপসারণ
করোনাকালীন সময়ে সেশনজট নিরসনের লক্ষ্যে গত বছরের গত জুলাই থেকে অনলাইনে ক্লাস নেয়া শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহাদ বলেন, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রাণের ক্যাম্পাসে ফিরতে চাই। এছাড়া করোনার টিকা যেহেতু চল্লিশ বছরের নিচে কেউ নিতে পারবে না বলে নীতিমালা করেছে সরকার সেই ক্ষেত্রে আমাদের বিকল্প কোন ব্যবস্থা ও করতে হবে।প্রয়োজনে সকল শিক্ষার্থীরা করোনা টিকা নিব। তাছাড়া করোনা সঙ্কটের পর দীর্ঘদিন পড়াশুনার যে শূন্যতা রয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে চাই।
আরও পড়ুন: গলায় ফাঁস দিয়ে খুবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
আরেক শিক্ষার্থী আশিক বলেন, আর মাত্র একটা পরীক্ষা হলে আমাদের পরীক্ষা শেষ হয়ে যেত। কিন্তু সেই পরীক্ষাও স্থগিত রেখেছে। এতে করে আমাদের পড়াশানার যে উৎসাহ বা যে ধারাবাহিকতা রয়েছে তা হারিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া আমাদের মোট ৫টি আবাসিক হল রয়েছে। যার মধ্যে ছাত্রদের তিনটি এবং ছাত্রীদের জন্য দুটি। এই আবাসিক হলে প্রায় ৫ হাজার আবাসিক শিক্ষার্থীরা আছে। তবে এই করোনা সঙ্কটের পর থেকে সব আবাসিক হলগুলো বন্ধ রয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে এখন তারা বাহিরে মেসে থাকছে। এতে করে তাদের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে ও মাসিক অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের করোনা টিকা দিতে চায়, আমরা অবশ্যই নিব। কিন্তু দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা শিক্ষার্থীরা আবাসিক হলে প্রবেশ করতে চাই।
আরও পড়ুন: আজ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোসাম্মাদ হোসনে আরা বলেন, সরকারিভাবে এখনও আবাসিক হল খোলার কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তাছাড়া যেহেতু শিক্ষার্থীদের বয়সের একটি সীমা রেখা রয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দ্রুত একটি ব্যবস্থা নিবে। যেন শিক্ষার্থীরা দ্রুত আবাসিক হলে প্রবেশ করতে পারে।