তিনি বলেন, ‘শহীদ ইসলাম কুয়েতের নাগরিক কিনা তা নিয়ে আমরা কুয়েত সরকারের সাথে আলোচনা করছি… আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব। তিনি যদি কুয়েতের নাগরিক হন, তবে তার আসনটি আমাদেরকে শূন্য ঘোষণা করতে হবে। কারণ আইন তার নিজস্ব গতিততে চলবে। আমাদের দেশেও তার (শহীদ ইসলাম) বিরুদ্ধে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’
সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের শুরু করা এক অনির্ধারিত বিতর্কে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে বিএনপির ওই এমপি কুয়েতে গ্রেপ্তার হওয়া মো. শহীদ ইসলামের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপির এমপি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছিলেন যে কুয়েত কর্তৃপক্ষ অর্থ পাচার ও মানব পাচারের অভিযোগে ‘স্থানীয় বাসিন্দা’ হিসাবে বাংলাদেশি সাংসদ মো. শহীদ ইসলামকে আটক করেছিল কারণ তিনি কূটনৈতিক বা সরকারি পাসপোর্ট ছাড়াই ওই দেশে অবস্থান করছিলেন।
গত সাধারণ নির্বাচনে স্বতন্ত্র ওই সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হলেও লক্ষ্মীপুর-২ আসনে তাকে দেয়া হয়নি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওই আসনটি জাতীয় পার্টির জন্য বরাদ্দ ছিল। পরে তিনি (শহীদ ইসলাম) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশ নেন। জাতীয় পার্টি নোমানকে মনোনয়ন দিলেও তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি।’
‘শহীদ ইসলাম যেকোনোভাবে সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে তার স্ত্রীকে এমপি করেছেন। তবে তিনি আমাদের দলের মনোনীত বা নির্বাচিত সংসদ সদস্য নন’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।