রবিবার সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, তিনি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন। তার (সুলতানা পারভীন) বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্থানীয় সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের বিষয়টি তদন্তের জন্য বিভাগীয় কমিশনারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। তিনি বিষয়টির তদন্ত করে আমাদের কাছে খসড়া পাঠিয়েছেন। সেই তদন্তে আমরা ডিসির বিরুদ্ধে বেশ কিছু অনিয়ম পেয়েছি। এখন তার (সুলতানা পারভীন) বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে ।’
আরও পড়ুন: নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় জামালপুরের সেই ডিসি বরখাস্ত
জামিন পেলেন কুড়িগ্রামের সেই সাংবাদিক
কুড়িগ্রামে সাংবাদিককে এক বছরের কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
অনলাইন ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম বাংলা ট্রিবিউনের জেলা প্রতিনিধি আরিফুলকে শুক্রবার রাতে শহরের চড়য়াপাড়া এলাকার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে রাতেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়। এ ঘটনায় দেশব্যাপী সমালোচিত হওয়ার পরে সাংবাদিক আরিফুলকে জামিন দেন কুড়িগ্রামের একটি আদালত ।
অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ, আনসার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মাদকসহ আরিফুল ইসলাম রিগানকে আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে তিনি দোষ স্বীকার করায় এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।’
তবে আরিফুলের স্ত্রী মোস্তারিমা সরদার নিতু অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার গভীর রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল বাসায় প্রবেশ করে আরিফুলকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়। কী অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে তখন তারা জানাননি।