কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জিঞ্জিরাম, কালো ও ধরণী নদীর পানির কারণে আট দিন ধরে কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই তিন নদীতে অস্বাভাবিক পানিবৃদ্ধি হওয়ায় কুড়িগ্রামের রৌমারী ও চর রাজীবপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে দেখা দিয়েছে আগাম বন্যা।
জানা গেছে, রৌমারী থেকে ঢাকা সড়কের পূর্ব অংশে বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করলেও পশ্চিম অংশে ব্রহ্মপুত্র, হলহলিয়া ও সোনাভরি নদী বন্যা সীমার অনেক নিচে রয়েছে। ফলে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে বিচ্ছিন্ন এই দুই উপজেলার একটি অংশের মানুষের দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
নিজের অক্ষমতার কথা জানিয়ে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের খেয়ারচর গ্রামের দিনমজুর নজির হোসেন বলেন, ‘পানিত বেরবের পাই না। বেরালেই খরচ। কাজ কাম নাই। আয় উন্নতি বন্ধ। খুব সমস্যাত আছি।’
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দফা বন্যার কবলে সুনামগঞ্জ
সরেজমিনে দেখা গেছে, পানি ভেঙে বাতেন মিয়া ডিম নিয়ে গিয়েছিলেন খেয়ারচর হাটে বিক্রি করতে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে হাটে লোকজন নাই। বিকাল ৪টার মধ্যে হাট বন্ধ হয়ে গেছে। তাই অবিক্রিত ডিম নিয়ে বাড়ি ফিরছেন তিনি।