ড়িগ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, শুক্রবার সকাল ৯ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ অবস্থায় দিনের বেলা সূর্যের দেখা মেলায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে নেমে আসছে কনকনে ঠাণ্ডা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়ার কারণে বেড়ে যায় কনকনে ঠাণ্ডা। এ অবস্থা চলে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষের। জীবন-জীবিকার তাগিদে অনেকেই বাধ্য হয়ে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করেই বের হচ্ছেন কাজে।
গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীত কষ্টে ভুগছেন ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র মানুষেরা। এতে করে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন জেলার নদ-নদী বেষ্টিত সাড়ে চার শতাধিক চরাঞ্চলের মানুষ।
আরও পড়ুন: দেশের কিছু অংশে জেঁকে বসেছে শৈত্যপ্রবাহ; থাকবে আরও ২-৩ দিন
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর এলাকার সবুর আলী জানান, প্রায় এক মাস ধরে ঠাণ্ডায় ভুগছি। রাত হলে ঠাণ্ডা বেড়ে যায়। খুব বেশি গরম কাপড় নাই। পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে দিন পার করছি।
জেলা শহরের রিকসাচালক সদর উপজেলার আমজাদ হোসেন জানান, আমি শহরে রিকশা চালাই। সন্ধ্যার পর থেকে আর রিকশার হ্যান্ডেল ধরা যায় না। কনকনে ঠাণ্ডায় যাত্রীও পাওয়া যায় না। শীত না যাওয়া পর্যন্ত খুব কষ্টে আছি।
কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক তুহিন জানান, শুক্রবার সকাল ৯ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপত্রামা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ জানান, এ পর্যন্ত জেলার ৯ উপজেলার শীতার্ত মানুষের মাঝে ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। বেসরকারিভাবে বিতরণ করা হয়েছে আরও তিন হাজার শীত বস্ত্র।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও নতুন করে আরও ২৫ হাজার কম্বলের বরাদ্দের চিঠি পাওয়া গেছে। এগুলো হাতে পাওয়া সঙ্গে সঙ্গে শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে
শৈত্যপ্রবাহ: যশোর, চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস