প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের যুব সমাজকে সমবায়ের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং গ্রামে বসবাসকারী মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সমবায় আমাদের কৃষি উৎপাদন, জীবন ও জীবিকার জন্য একেবারে অপরিহার্য। সমবায় আমাদের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশের জন্য বিশাল সুযোগ তৈরি করে।’
শনিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে একটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ৫১তম জাতীয় সমবায় দিবস-২০২২ উপলক্ষে এবং জাতীয় সমবায় পুরস্কার-২০২১ প্রদানের আয়োজনে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন।
এসময় শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে সমবায়কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার ওপরও জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। যদি যুব সমাজ এগিয়ে এসে সমগ্র গ্রাম ও মানুষকে এক করে সমবায়ের মাধ্যমে কার্যক্রম চালাতে পারে তাহলে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবো।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার জনগণের জন্য কাজ করছে এবং সুযোগ তৈরি করতে চায়, যাতে প্রত্যেক ব্যক্তি তাদের জীবন ও জীবিকা উন্নত করতে পারে।
তিনি বলেন, তার সরকার বেসরকারি উদ্যোক্তাদের জন্য প্রতিটি খাত খুলে দিয়েছে, যাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়।
মুদ্রাস্ফীতির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সারা বিশ্বে পণ্যের দাম বেড়েছে, যার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। এখন প্রায় সব দেশই উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে ভুগছে।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকেরই (প্রত্যেক দেশের) রিজার্ভ ব্যবহার করেই চলতে হচ্ছে। আমাদেরও করতে হচ্ছে এবং সেটা দেশের মানুষের জন্য।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ও কৃষি উৎপাদনের স্বার্থে উচ্চ পরিবহন ব্যয় সত্বেও খুব উচ্চ মূল্যে সার, জ্বালানি ও ভোজ্যতেল কিনতে হবে।
‘বঙ্গবন্ধুর দর্শনই সমবায়ের মাধ্যমে উন্নয়ন’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এ বছর সারাদেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এ খাতে অবদানের জন্য ৯টি সমবায় সমিতি এবং একজন ব্যক্তিকে জাতীয় সমবায় পুরস্কার-২০২১ তুলে দেন। প্রত্যেক পুরস্কারপ্রাপ্তকে স্বর্ণপদক ও সনদপত্র দেয়া হয়।
এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব মশিউর রহমান এবং সমবায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. তরুণ কান্তি সিকদার।