রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রখ্যাত গীতিকার কে জি মোস্তফাকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সাংবাদিক ও তার সহকর্মীরা।
সোমবার বেলা ১টা ৩০ এর দিকে প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে তার লাশ আনা হলে শতাধিক মিডিয়া কর্মী,কে জি মোস্তফার প্রাক্তন সহকর্মী এবং বন্ধুরা তাকে শ্রদ্ধা জানান।
সাংবাদিক ছাড়াও বিভিন্ন পেশার মানুষও প্রবীণ সাংবাদিকের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
জেপিসি, বিএফইউজে, ডিইউজে, পিআইবি ও নোয়াখালী সাংবাদিক ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তার কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এর আগে প্রেস ক্লাব চত্বরে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বিশিষ্ট গীতিকার ও সাংবাদিক কে জি মোস্তফা মারা গেছেন
এর আগে রবিবার রাত ৮টায় আজিমপুরে নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা চলচ্চিত্রের সোনালী যুগের অসংখ্য চিরসবুজ গানের কিংবদন্তি গীতিকার কে জি মোস্তফা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
১৯৩৭ সালের ১ জুলাই নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে জন্মগ্রহণকারী কে জি মোস্তফা ১৯৭৬ সালে বিসিএস তথ্য ক্যাডারের অফিসার হিসেবে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরে সহকারী সম্পাদক পদে যোগ দেন এবং সিনিয়র সম্পাদক হিসেবে ১৯৯৬ সালে অবসরে যান। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভকারী কে জি মোস্তফা ইত্তেহাদ, সংবাদসহ কয়েকটি পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন।
১৯৬০ সাল থেকে চলচ্চিত্র, বেতার এবং টেলিভিশনের হাজার গানের গীতিকার, কাব্য ও গদ্যগ্রন্থ প্রণেতা কে জি মুস্তাফা রচিত 'তোমারে লেগেছে এতো যে ভালো চাঁদ বুঝি তা জানে’, ‘আয়নাতে ওই মুখ দেখবে যখন’ এমন অপূর্ব সব গান মানুষের মুখে মুখে ফেরে।