বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে সিভিল সার্ভিসে নিয়োগে নারীরা পিছিয়ে নয়, বরং এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী।
এ সংলাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ)।
সংলাপে বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে ৩ লাখ ৭০ হাজার পদ খালি: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
‘বিসিএসে নারীরা পিছিয়ে যাচ্ছে’- বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংবাদের প্রসঙ্গে জনপ্রশাসনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, 'সংবাদে এসেছে, তবে আপনারা যদি আমাদের পরিসংখ্যান দেখেন, বুঝতে পারবেন এ রকম কিছু হয়নি যে নারীরা পিছিয়ে যাচ্ছেন বরং নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন।'
তিনি আরও বলেন, '৩৫তম বিসিএসে নারী কর্মকর্তা রয়েছেন ২৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ১০০ জনের মধ্যে নারী ২৮ জনের মতো। ৩৬তম বিসিএসে আমরা দেখেছি নারী কর্মকর্তা ২৬ দশমিক ২২ শতাংশ। ৩৭তম বিসিএসে দেখেছি ২৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ৩৮ তম বিসিএসে ২৬ দশমিক ৯১ শতাংশ। ৪০তম বিসিএসে দেখেছি নারীদের হার ২৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। সর্বশেষ ৪১তম বিসিএসে ২৬ দশমিক ৭১ শতাংশ নারী প্রার্থী পদায়নের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।'
বিশেষ বিসিএসের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, '২৯তম বিশেষ বিসিএসে নারী ছিলেন ৪৬ দশমিক ৮১ শতাংশ। চিকিৎসক নিয়োগে ৪২তম বিশেষ বিসিএসে নারী ছিলেন ৪৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।'
ফরহাদ হোসেন আরও বলেন,'দশ শতাংশ নারী কোটা বাতিলের পরেও নারীরা আগের মতোই নিয়োগ পাচ্ছেন। এখানে কোন ব্যত্যয় ঘটেনি। ৪০তম বিসিএস থেকেই কিন্তু নারীদের কোনো কোটা নেই।'
কোটা না থাকলেও বিসিএসে নারীদের উত্তীর্ণ হওয়ার হার কমেনি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এই তথ্যটা (নিয়োগ পাওয়ার হার কমেছে) আসলে সঠিক নয়। প্রত্যেকটি বিসিএস থেকে ২৬ থেকে ২৭ শতাংশ নারী সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন। সেটি কিন্তু তারা ধরে রেখেছেন সেখানে কোনো ব্যত্যয় নেই।'
আরও পড়ুন: গত ১০ বছরে শাস্তি পেয়েছেন ১৮১ জন সরকারি কর্মকর্তা: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
প্রশাসনে মন্ত্রণালয়-বিভাগের ৫৮ জন সচিবের মধ্যে ১১ জন নারী সচিব- জানিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, 'নারীদের মধ্যে অতিরিক্ত সচিব রয়েছেন ৭৫ জন, যুগ্মসচিব রয়েছেন ১৬৪ জন, উপসচিব রয়েছেন ৩৯৪ জন, সিনিয়র সহকারী সচিব রয়েছেন ৬৫৮ জন।'
তিনি আরও বলেন, '৬৪ জেলার মধ্যে নারী জেলা প্রশাসক রয়েছে ৭ জন, নারী ইউএনও ১৫১ জন, নারী বিভাগীয় কমিশনার রয়েছেন একজন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) রয়েছেন ৮৮ জন।'
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, নারীরা কোনো ক্ষেত্রেই পিছিয়ে যাচ্ছে না বরং সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন। ক্যাডার সার্ভিস ছাড়াও সবমিলিয়ে সরকারি চাকরিতে ২৯ শতাংশ নারী রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএসআরএফ’র সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব, সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক