সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভের ঘটনায় রাজধানীতে ২ হাজার ৫৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের এডিসি কে এন রায় নিয়তি জানান, গত ১২ থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ২৯০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার অপতৎপরতা কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
র্যাব সদর দপ্তরের গণমাধ্যম শাখার এএসপি ইমরান খান জানান, শনিবার সকাল পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে ৭১ জনকে ঢাকা থেকে এবং বাকিদের ঢাকার বাইরে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, হামলাকারী ও নাশকতাকারীরা চিহ্নিত না হওয়া পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলবে।
রংপুর শিল্পকলা মিলনায়তনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'তারা যেই হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন-অর-রশীদ বলেছেন, কোটা আন্দোলনের নামে যারা নাশকতা করেছে এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের হত্যা করেছে তারা যেখানেই থাকুক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: ৩ পুলিশ সদস্যকে হত্যায় জড়িতরা ছাড় পাবে না: ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার
শুক্রবার ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডিবি প্রধান বলেন, যারা পুলিশ কর্মকর্তাদের হত্যা করেছে, বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে এবং মেট্রোরেলসহ সরকারি স্থাপনায় নাশকতা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা এসব কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং এগুলোতে অর্থায়ন করেছেন বা আর্থিক লেনদেনে সহায়তা করেছেন তাদের ছাড় দেওয়া হবে না, তারা যেখানেই থাকুক না কেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সারাদেশে অন্তত দুই হাজার বিরোধী নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অবিলম্বে গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।
ফখরুল বলেন, 'এ পর্যন্ত আমরা জানতে পেরেছি আমাদের প্রায় দুই হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
তবে সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়ায় গ্রেপ্তার ও হতাহতের সঠিক তথ্য তাদের কাছে এখনও নেই বলে জানান তিনি।