সোমবার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের সাথে সমন্বয় করে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. মাহবুব আলম তালুকদার।
আইওএম বাংলাদেশ মিশনের উপ-প্রধান ম্যানুয়েল পেরেইরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মো. আতিকুর রহমান, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ২০ ও ২০ এক্সটেনশন ক্যাম্প ইনচার্জ মো. আবদুস সবুর, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নিকারুজ্জামান, উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. রঞ্জন বড়ুয়া এবং ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের স্বাস্থ্য খাতের সমন্বয়ক ডা. মুকেশ কুমার প্রজাপতি।
জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থাটি এ পর্যন্ত তিনটি এসএআরআই আইটিসির ২৩০টি শয্যার মাধ্যমে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কোভিড-১৯ এর সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে। আইওএম মাইগ্রেশন হেলথ ডিভিশন কক্সবাজারে আরও চারটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের পুনর্গঠন করেছে।
কোভিড-১৯ এর প্রভাব কমানো ও বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করার জন্য কক্সবাজার জেলায় আইওএম যেসব অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সহায়তা দিয়েছে তা হলো- আইওএম কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ১০ জন মেডিকেল অফিসার, একজন রেডিওলজিস্ট, একজন রেডিওগ্রাফার, একজন স্যানিটেশন অফিসার এবং ১৫ জন ক্লিনার সহায়তা প্রদান করেছে এবং স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহকারীদের জন্য পিপিই সরবরাহ করেছে।
আইওএম বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রামু এবং চকরিয়ায় এসএআরআই আইটিসিগুলোতে শয্যা বাড়ানো এবং অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন পরিষেবার মান উন্নয়নে সহায়তা করছে।
উখিয়া ও টেকনাফসহ জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বিভিন্ন সহায়তা সরবরাহ করা হচ্ছে।
কোভিড-১৯ রোগীদের এবং তাদের পরিবারদের সাথে সমন্বয় ও সঠিকভাবে পরিচালনা করতে অ্যাম্বুলেন্স প্রেরণ এবং রেফারেল ইউনিটের নেতৃত্ব দিচ্ছে আইওএম। রেফারেল করা কোভিড-১৯ রোগী বহন করার জন্য সাতটি অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিচ্ছে।
আইওএম ২৪ ঘণ্টা হটলাইন এবং ইন্টারেক্টিভ ভয়েস রেসপন্স (আইভিআর) প্রযুক্তির মাধ্যমে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত গুজব এবং ভুল তথ্য প্রতিরোধ করে জীবন রক্ষাকারী তথ্য সরবরাহ করছে।
আইওএম ৩৫টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে ৯৩টি আশ্রয়সেয়াকে ৪৬৫ জনের ধারণ ক্ষমতার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রূপান্তর করা হয়েছে।