আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশু হিসেবে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার সাত ফুট উচ্চতা ও ১৫ ফুট দৈর্ঘ্যের ৩২ মণ ওজনের কালো মানিক স্থানীয়দের মধ্যে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
উপজেলার আটালিয়া ইউনিয়নের রোস্তমপুর গ্রামের গরুর মালিক প্রবীর মজুমদার জানান, তিনি তার খামারে আরও তিনটি গরুর সঙ্গে কালো মানিক নামে গরুটিকে লালন ও পালন করেছেন।
বড় সাইজের গরুটিকে দেখতে প্রতিদিনই লোকজন খামারে ভিড় করছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে দেড় লাখের বেশি কোরবানি পশু প্রস্তুত: জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর
ঘটনাস্থলে থাকা স্থানীয় এনামুল গাজী ইউএনবিকে বলেন, ‘উপজেলায় কালো মানিকের চেয়ে বড় গরু আর নেই বলে অনেক খামারিদের কাছে শুনেছি। তাই নিজের চোখে দেখতে এসেছি।’
বড় আকৃতির গরুর কথা শুনে দেখার আগ্রহ হয়েছিল। তাই দেখতে এসেছি। আমি অনেক খামারির কাছে খবর নিয়েছি, উপজেলায় এত বড় গরু আর নেই।
মালিক প্রবীর মজুমদার বলেন, ‘আমার কালো মানিক খুব শান্ত স্বভাবের গরু। তার কোনো রাগ নেই। কারো দিকে তেড়েও আসে না।’
প্রবীর মজুমদার একজন প্রবাসী শ্রমিক ছিলেন। দেশে ফিরে আসার পর পাঁচ বছর আগে নিজের বাড়িতে তার গরুর খামার শুরু করেন। গত দুই বছর ধরে আরও তিনটি গরু সঙ্গে কালো মানিককে লালন ও পালন করেন। তিনি প্রতিদিন গরুটিকে প্রায় ১০ কেজি করে খাবার খাওয়ান। এর মধ্যে গমের ভুসি, ধানের কুঁড়া, ভুট্টা, শুকনো খড় ও কাঁচা ঘাস রয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার ১.২১ কোটির বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত: মন্ত্রী
প্রবীর দাবি করেন, তিনি কালো মানিককে মোটাতাজাকরণের কোনো ওষুধ ব্যবহার করেননি তবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়েছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা সুলতানা বলেন, ‘উপজেলায় চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত কোরবানির পশু পাওয়া যাচ্ছে। তবে বিক্রি এবং ভালো দাম পাওয়া নিয়ে কৃষকরা কিছুটা চিন্তিত রয়েছেন।’