তিনি বলেন, ‘কোরবানির পশুর হাটে খাবারের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে মানুষকে অজ্ঞান করা হয়। সেজন্য হাটে কোনো ধরনের ভ্রাম্যমাণ দোকান বা হকার বসতে দেয়া হবে না ‘
এ প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার পশুর হাট ইজারাদারদের বাজারের অভ্যন্তরে স্থায়ী খাবারের দোকান এবং চায়ের স্টল স্থাপন এবং দোকান মালিকের পরিচয় স্থানীয় থানায় জমা দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মো. ওয়ালিদ হোসেন বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ডিএমপি সদর দপ্তরে আইন শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা রক্ষা বিষয়ে সমন্বয় সভায় ডিএমপির শীর্ষ কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
বৈঠকে ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রতিটি হাটের নামে অনলাইনে পশুর হাটে কোরবানির পশু বিক্রি করতে পারলে ভালো হবে। এই ব্যবস্থাটি পশু কেনার জন্য নিরাপদ। হাট ইজারাদার অনলাইনে বিক্রির মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা এড়াতে পারবেন। হাট ছাড়া কেউ বাহির থেকে অনলাইনে গরু কিনলে তার থেকে কোনো ধরনের হাসিল নেয়া যাবে না।
গরু বহনকারী ট্রাকগুলোকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে ক্রাইম বিভাগের সব উপ-পুলিশ কমিশনারকে (ডিসি) নির্দেশ প্রদান করে কমিশনার বলেন, গরু নিয়ে হাটে আসা ট্রাকগুলো শৃঙ্খলার মধ্যে রাখতে হবে। গাড়ির নম্বর ও ড্রাইভারের নাম-পরিচয় এবং তার ছবি তুলে পুলিশের কাছে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। যাতে ড্রাইভারকে দ্রুত শনাক্ত করা যায়।
কমিশনার বলেন, বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। আশা করি আমরা সবাই চেষ্টা করলে ভালোভাবে ঈদুল আজহার সব আয়োজন শেষ করতে পারব।