খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার খাদ্যশস্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, চলতি আমন মৌসুমে উত্তরাঞ্চলে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভাল ফলন ও বাজারে ধানের দাম ভালো থাকায় খুশি কৃষকেরা।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার উত্তর গ্রাম এলাকায় ধানের মাঠ ও পাকা ধান কাটা মাড়াই পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এসময় চাষিদের সঙ্গে কথাও বলেন এবং চলতি মৌসুমের ফসল, দরদাম ছাড়াও অন্যান্য চাষাবাদ ও গ্রামীণ অর্থনীতির খোঁজখবর নেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আমন ধান ছাড়াও সামনে ইরি মৌসুম আসছে। তাই দেশে খাদ্য ঘাটতি বা দুর্ভিক্ষের কোন সম্ভাবনা নেই।
এজন্য আতঙ্কিত হয়ে অবৈধভাবে মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি না করতে আহবান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিশ্বে খাদ্য শস্যের দাম প্রায় তিনগুণ বেড়ে গেছে: খাদ্যমন্ত্রী
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, মাঠে ৪৯ জাতের একটি ধান দেখলাম। এটি একটি চিকন জাতের ধান।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানলাম, এই ধান তারা বিঘাতে ২৪ মণ হারে পাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, এবছর সরকার কৃষককে নায্য মূল্য দিতে ২৮ টাকা কেজি দরে ধান সংগ্রহ করবে। আমরা আশা করছি, কেউ সিন্ডিকেট করে কোন ভাবেই কৃষককে ঠকাতে পারবে না। এছাড়া বাজার মনিটরিং ও সংগ্রহ কার্যক্রম তদারকি করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মজুত পরিস্থিতি ভালো রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকারি গুদামে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মজুদ আছে। তারপরও কৃষকেরা যেন ধানের ন্যায্য মূল্য পায়, ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং ভোক্তারা যেন নায্যা মূল্যে চাল পায় এজন্য প্রয়োজন হলে পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারিভাবে ধান ক্রয় আরও বাড়ানো হতে পারে জানান মন্ত্রী।
ফসলের মাঠ পরিদর্শনের সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন খাদ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব শহিদুজ্জামান, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো. আব্দুল খালেকসহ খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চকচকে চাল বর্জন করে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন চাল খাওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর