মজুদ
খাদ্য মজুদ ও কালোবাজারির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
আসন্ন রোজার মাসে খাদ্য মজুদ ও কালোবাজারির বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে কেউ কখনই খাদ্য মজুদ করতে না পারে এবং এসব জিনিসের কালোবাজারি করতে না পারে।’
রবিবার রাজধানীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, রমজান মাসে জনগণ যাতে ভোগান্তিতে না পড়ে সেজন্য তার সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে।
দরিদ্রদের জন্য খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সরকার পারিবারিক কার্ডের মাধ্যমে এক কোটি মানুষকে ৩০ টাকা/কেজি দরে ভর্তুকি দিয়ে চাল দেয় এবং আরও ৫০ লাখ মানুষকে ১৫ টাকা/কেজি দরে চাল দেয়।
আরও পড়ুন: জঙ্গিবাদ, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সতর্কতা বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ যাতে ভোগান্তিতে না পড়ে সেজন্য প্রয়োজনে সরকার আরও ৫০ লাখ মানুষকে (১৫ টাকা/কেজিতে) চাল দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, চালের পাশাপাশি সরকার দরিদ্রদের জন্য ভর্তুকি মূল্যে রমজানে ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলাসহ আরও কিছু প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উদ্বোধনী বক্তব্য দেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন ও আফজাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু ও অধ্যাপক ডা. মেরিনা জাহান কবিতা, আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বক্তব্য দেন।
যৌথভাবে এটি পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: তথাকথিত বিরোধীরা মিথ্যা প্রচার করে সাফল্য নষ্ট করতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
খাদ্যশস্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি না করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার খাদ্যশস্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, চলতি আমন মৌসুমে উত্তরাঞ্চলে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভাল ফলন ও বাজারে ধানের দাম ভালো থাকায় খুশি কৃষকেরা।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার উত্তর গ্রাম এলাকায় ধানের মাঠ ও পাকা ধান কাটা মাড়াই পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এসময় চাষিদের সঙ্গে কথাও বলেন এবং চলতি মৌসুমের ফসল, দরদাম ছাড়াও অন্যান্য চাষাবাদ ও গ্রামীণ অর্থনীতির খোঁজখবর নেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আমন ধান ছাড়াও সামনে ইরি মৌসুম আসছে। তাই দেশে খাদ্য ঘাটতি বা দুর্ভিক্ষের কোন সম্ভাবনা নেই।
এজন্য আতঙ্কিত হয়ে অবৈধভাবে মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি না করতে আহবান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিশ্বে খাদ্য শস্যের দাম প্রায় তিনগুণ বেড়ে গেছে: খাদ্যমন্ত্রী
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, মাঠে ৪৯ জাতের একটি ধান দেখলাম। এটি একটি চিকন জাতের ধান।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানলাম, এই ধান তারা বিঘাতে ২৪ মণ হারে পাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, এবছর সরকার কৃষককে নায্য মূল্য দিতে ২৮ টাকা কেজি দরে ধান সংগ্রহ করবে। আমরা আশা করছি, কেউ সিন্ডিকেট করে কোন ভাবেই কৃষককে ঠকাতে পারবে না। এছাড়া বাজার মনিটরিং ও সংগ্রহ কার্যক্রম তদারকি করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মজুত পরিস্থিতি ভালো রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকারি গুদামে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মজুদ আছে। তারপরও কৃষকেরা যেন ধানের ন্যায্য মূল্য পায়, ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং ভোক্তারা যেন নায্যা মূল্যে চাল পায় এজন্য প্রয়োজন হলে পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারিভাবে ধান ক্রয় আরও বাড়ানো হতে পারে জানান মন্ত্রী।
ফসলের মাঠ পরিদর্শনের সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন খাদ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব শহিদুজ্জামান, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো. আব্দুল খালেকসহ খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চকচকে চাল বর্জন করে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন চাল খাওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
সরকার ৩ লাখ টন ধান ও ৫ লাখ টন চাল কিনবে: খাদ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী স্থানীয়ভাবে দাম বাড়িয়ে অস্থিরতা তৈরি করেছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন,সারের কোন ঘাটতি নেই। আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত চাহিদার অতিরিক্ত সারের মজুদ রয়েছে। আমরা এখন আগামী বোরো মৌসুমের জন্য সার সংগ্রহ করছি। তারপরও কিছু ডিলার ও অসাধু ব্যবসায়ী স্থানীয়ভাবে দাম বাড়িয়ে অস্থিরতা তৈরি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক সংকটের কারণে দেশেও কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। সেটিকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফার জন্য দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। কিছু ব্যবসায়ী অনেক চতুর। তারা আমনের উৎপাদন কমবে জেনে ইতোমধ্যে চাল মজুদ করছে। সেজন্য বাজারে চালের সরবরাহ কমায় দাম বাড়ছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ধান ও গমসহ ২৮টি ফসলের ভবিষ্যত চাহিদা ও যোগান নিরূপণে পরিচালিত গবেষণার চূড়ান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ভোগ্যপণ্যের দাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা স্বীকার করছি, মানুষ কষ্টে রয়েছে। যাদের আয় কম তাদের সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। তবে সরকার মানুষের কষ্ট লাঘবে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। কীভাবে দ্রুত সবকিছুর দাম কমানো যায় সে চেষ্টা সরকারের রয়েছে। তবে বিশ্ব পরিস্থিতি খুব খারাপ। সেজন্য বিশ্বজুড়েই এ অস্থিতিশীলতা।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমন চাল উৎপাদনের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৌসুম। খরা আর অনাবৃষ্টির কারণে এবছর আমন রোপণ ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে জ্বালানি তেলের দাম বেশি। গ্রামগঞ্জে অনেক সময় বিদ্যুত থাকছে না। সেচ সংকট তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেরিতে লাগানো আমনের ক্ষেত এখন সেচের অভাবে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। সেজন্য আমন নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছি।
তিনি বলেন, গতকাল কেবিনেটে এ পরিস্থিতি নিয়ে অলোচনা হয়েছে। আমি বলেছি আগস্টের পরে ধান রোপণ করলে উৎপাদন কমে যাবে। আগামী ১৫ দিন আমনের সেচের কাজে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী সেটি বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগকে রাতে সেচের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আশা করছি, এ সিদ্ধান্ত তারা (বিদ্যুৎ বিভাগ) পালন করবে।
২৮টি ফসলের ভবিষ্যত চাহিদা ও যোগান নিয়ে স্টাডির প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন,এ ধরনের স্টাডি খুবই প্রয়োজন। সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে চাল ও গমসহ বিভিন্ন ফসলের চাহিদা ও উৎপাদনের পরিসংখ্যান থাকলে সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রয়োজন করা সম্ভব হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করাও সম্ভব হবে।
এসময় স্টাডিকে আরও সঠিক করার নির্দেশনা প্রদান করেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অধীনে দেশের বিশিষ্ট কৃষি অর্থনীতিবিদ ও গবেষকের নেতৃত্বে নার্সভুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীদের (কৃষি অর্থনীতিবিদ) সমন্বয়ে গঠিত গবেষণা দলের মাধ্যমে এ স্টাডি পরিচালিত হয়। ২০৩০ এবং ২০৫০ সালে ফসলের (খাদ্য শস্য) অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও যোগানের ঘাটতি/উদ্বৃত্ত প্রাক্কলন করতেই মূলত স্টাডিটি করা হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণের খাদ্য গ্রহণের তালিকা ধীরে ধীরে বৈচিত্র্যময় হচ্ছে। দানাদার খাদ্য থেকে সিংহভাগ ক্যালোরি গ্রহণ করলেও মোট ক্যালোরি গ্রহণের হার অনেক কমে গেছে। ১৯৯০ সালে দানাদার খাদ্য থেকে মোট ক্যালোরি গ্রহণের হার ছিল ৮৯ দশমিক ৬ শতাংশ যা ২০১০ সালে হ্রাস পেয়ে ৮৩ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ৮০ দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে।
১৯৯০ সালে শুধু চাল থেকে ক্যালরি গ্রহণের হার ছিলো ৮০ দশমিক ৪ শতাংশ যা ২০২১ সালে হ্রাস পেয়ে ৭০ দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে এবং আগামী ২০৩০ এবং ২০৫০ সালে হবে যথাক্রমে ৭২ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ৭০ দশমিক ৪ শতাংশ। গম থেকে ক্যালরি গ্রহণের হার ২০১০ সালে ছিলো ৬ দশমিক ৬ শতাংশ, ২০৩০ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হবে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ যা অব্যাহত থেকে ২০৫০ সালে ৬ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছাবে।
পড়ুন: বিএনপি সরকারকে সরাতে পারবে না: কৃষিমন্ত্রী
চালের উৎপাদন ও যোগানে বিষয়ে বলা হয়, ২০৩০ সালে মানুষের খাদ্য হিসেবে এবং অন্যান্য প্রয়োজনে (বীজ, প্রাণি ও মৎস্য খাদ্য, শিল্প, অপচয়, ইত্যাদি) চালের মোট চাহিদা হবে ৩৯ দশমিক ১ মিলিয়ন টন এবং ২০৫০ সালে ৪২ দশমিক ৬ মিলিয়ন টন। বর্তমান উৎপাদন অবস্থা বিদ্যমান থাকলে আগামী ২০৩০ ও ২০৫০ সাল নাগাদ চালের মোট যোগান হবে যথাক্রমে ৪৩ দশমিক ২ এবং ৫৪ দশমিক ৯ মিলিয়ন টন।
আগামী কয়েক দশক দেশের কৃষি উৎপাদন জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব, মাটির লবণাক্ততা বৃদ্ধি, সেচের পানির অভাব ইত্যাদি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে। প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ধান উৎপাদন ব্যাপক ব্যাহত হবে। এটি মোকাবিলায় অধিক উৎপাদনশীল নতুন ধান প্রযুক্তি কৃষক পর্যায়ে জনপ্রিয় করা অত্যাবশ্যক- যাতে মোট উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখা যায়। আশা করা যায়, দীর্ঘমেয়াদে নতুন ধান প্রযুক্তি পাওয়া যাবে এবং কৃষক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য হবে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাভাবিক অবস্থা বিবেচনায় ২০৩০ ও ২০৫০ সালে উদ্বৃত্ত চালের পরিমাণ দাঁড়াবে যথাক্রমে ৪ দশমিক ১ ও ১২ দশমিক ৩ মিলিয়ন টন। কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতি (বিরূপ আবহাওয়া, উৎপাদন উপকরণ সংকট, ইত্যাদি) সৃষ্টি হলে ২০৩০ সালে ৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন টন এবং ২০৫০ সালে ১ দশমিক ৯ মিলিয়ন টন চালের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার।
আরও পড়ুন: দেশে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত সার মজুদ আছে: কৃষিমন্ত্রী
ইউরিয়া সারের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার কমাতেই দাম বৃদ্ধি: কৃষিমন্ত্রী
২ বছর আগে
দেশে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত সার মজুদ আছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত সার মজুদ আছে। এ অবস্থায় সার নিয়ে কারসাজি করে কৃত্রিম সংকট তৈরি ও বেশি দামে বিক্রি করলে ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।
সোমবার বিকালে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের ভিত্তি হলো জনগণ। জনগণের সমর্থন নিয়েই বার বার ক্ষমতায় এসেছে, সরকার পরিচালনা করছে। কোন বিদেশি শক্তি বা রাষ্ট্রের ওপর আওয়ামী কখনই নির্ভরশীল নয়, তাদের কাছে ধর্নাও দেয় না।
আরও পড়ুন:তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
অন্যদিকে বিএনপি সবসময়ই অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে ক্ষমতায় এসেছে। এখনও ক্ষমতায় আসার জন্য তারা বিদেশি প্রভু ও রাষ্ট্রের কাছে ছোটাছুটি করছে, ধর্না দিয়ে বেড়াচ্ছে। এছাড়া রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করে বিএনপি বর্তমান সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না।
বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি এবং কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, বিশেষ অতিথি হিসেবে সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান, কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, ইমেরিটাস অধ্যাপক সাত্তার মণ্ডল বক্তব্য দেন।
প্রধান আলোচক ছিলেন প্রখ্যাত কথাশিল্পী ও বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন। বঙ্গবন্ধুর ওপর স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল।
বাকৃবি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আওলাদ হোসেনের সঞ্চালনায় সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি মো. হামিদুর রহমান, ছাত্রলীগ বাকৃবি শাখার সাবেক সভাপতি সারোয়ার মোর্শেদসহ বিশিষ্ট কৃষিবিদরা বক্তব্য দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, সারে গত বছর ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই এ বিশাল ভর্তুকি দেয়া সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পিছনের কুশীলবদের চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার আমরা করেছি। খুনীদের অনেকের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। তবে পাঁচজন আসামি বিদেশে পালিয়ে আছে, তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর করতে পারলে ষড়যন্ত্রের খেলা এ দেশে কমবে।
আরও পড়ুন:বিএনপি সরকারকে সরাতে পারবে না: কৃষিমন্ত্রী
খাদ্যের জন্য কোনক্রমেই বিদেশের ওপর নির্ভরশীল থাকা যাবে না: কৃষিমন্ত্রী
২ বছর আগে
৩৫ লাখ মেট্টিক টন খাদ্য মজুদের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ৩৫ লাখ মেট্টিক টন খাদ্য মজুদের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
তিনি বলেন, দেশে ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য শষ্য সংরক্ষণের সক্ষমতা আছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৫ লাখ মেট্টিক টন খাদ্য শস্য মজুদের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে সরকার।
শনিবার বিকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় এক লাখ ১৪ হাজার ৩শ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন গমের আধুনিক স্টিল সাইলো নির্মাণ কাজের ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই সব কথা বলেন। পরে তিনি চট্টগ্রাম গমের স্টিল সাইলোর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: খাদ্যের অপচয় রোধে সতর্ক হওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
তিনি বলেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ আট স্থানে আটটি স্টেল সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম গমের সাইলো দেশের খাদ্য সংরক্ষণে বড় ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কৃষকের ভেজা ধান সাইলোতে শুকিয়ে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি কৃষককে সহায়তার জন্য সরকার ধান চাল প্রকিউর করে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী সমস্যা তৈরি করেছে। তবে তুরষ্কের মধ্যস্থতায় একটি সমঝোতা হতে যাচ্ছে। ইউক্রেন ও রাশিয়া খাদ্যপণ্য রপ্তানি করার বিষয়ে একটি চুক্তি করেছে যা আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে, গম আনতে কষ্ট হবে না।
আরও পড়ুন: বাঙালি জাতির অসীম সাহসের প্রতীক পদ্মা সেতু: খাদ্যমন্ত্রী
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন।
২ বছর আগে
শৈলকুপায় সয়াবিন তেল মজুদ রাখায় ২ জনের জরিমানা
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সয়াবিন তেলের অবৈধ মজুদ রাখার অপরাধে দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার কবিরপুর বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন শৈলকুপা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ প্রতীম শীল।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জানান, অবৈধভাবে সয়াবিন তেল মজুদ করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু ব্যবসায়ী, এমন খবরে কবিরপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সেসময় কবিরপুর এলাকার ব্যবসায়ী শংকর কুমার কুন্ডুর গুদামে প্রায় তিন শত ব্যারেল সয়াবিন তেল মজুত পাওয়া যায়। যার পরিমান ৬১ হাজার লিটারের বেশি হবে। এছাড়াও রাজু কুন্ডু নামের আরেক ব্যবসায়ীর গুদামে ২০ ব্যারেল তেল মজুত পান। যার পরিমান ৪ হাজার ৮০ লিটার। অতিরিক্ত মজুদ রাখার অপরাধে শংকর কুন্ডুকে ২০ হাজার ও রাজু কুন্ডুতে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালতের বিচারক।
মজুদকৃত তেলের ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ প্রতীম শীল।
অভিযানে শৈলকুপা থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধে ডিএনসিআরপির অভিযান: ২ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী, ৪ মামলাসহ জরিমানা আদায় ডিএনসিসি’র
২ বছর আগে
সয়াবিন তেল মজুদের অভিযোগে সাবেক কৃষি কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
বাজারে কৃত্রিম সংকট ও রমজানকে সামনে রেখে অধিক মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে সয়াবিন তেল মজুদ করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কাজী নজরুল ইসলাম সড়কে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. লায়েকুজ্জামান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক উপ-সহকারী কর্মকর্তা।
শনিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক মনির হোসেন একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫১২ লিটার তীর ও বসুন্ধরা ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেল জব্দ করেন।
আরও পড়ুন: আবারও বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম
তিনি আরও জানান, লায়েকুজ্জামান গত ৬ মার্চ কৃষি মার্কেটের সূর্য এন্টারপ্রাইজ থেকে ছয় হাজার ৩৬০ টাকায় দুটি কার্টনে ৪০ লিটার সয়াবিন তেল কিনেন এবং টাকার রশিদও সংগ্রহ করেন। পরে তিনি বিভিন্ন দোকান থেকে সয়াবিন তেল সংগ্রহ করে নিজের হাতে রশিদে টাকা লিখে দেন, যা ফৌজদারি অপরাধ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম কমে আসবে: আইনমন্ত্রী
২ বছর আগে
দেশের ৩ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পিসিআর পরীক্ষা হবে
বাংলাদেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটে ওঠার চার থেকে ছয় ঘণ্টা আগে যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার সুবিধার্থে পিসিআর পরীক্ষার বুথ স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীরা পাবে ফাইজার মডার্নার টিকা
আনোয়ারুল ইসলাম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণকারীদের জন্য ফ্লাইটের ৪, ৬ বা ৮ ঘণ্টা আগে পিসিআর পরীক্ষা দেয়ার শর্ত জারি করেছিল, কর্তৃপক্ষকে আগামী দুই বা তিন দিনের মধ্যে পিসিআর মেশিন বসাতে বলা হয়েছে।’
একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট এই তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পিসিআর বুথ স্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: ফখরুলের টিকা দুর্নীতির অভিযোগ কাল্পনিক: কাদের
বৈঠকে মন্ত্রিসভা দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেছে এবং পদ্মা ও যমুনা নদীর পানির স্তর বাড়তে থাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী কৃষিমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন টি-আমন ধানের মজুদ নিশ্চিত করতে যাতে কৃষকরা সবচেয়ে বেশি বন্যাকবলিত এলাকায় আমনের পরিবর্তে এই ধান চাষ করতে পারে।
৩ বছর আগে
কমছে পদ্মার ইলিশ, বাড়ছে দাম
ইলিশ মৌসুমের আগমনের সাথে সাথে জেলার বৃহত্তম পাইকারী ইলিশ বাজার চাঁদপুরের বড় স্টেশন মাছ ঘাটে আবারও চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
তবে বাজারের ব্যবসায়ীরা পদ্মা নদীতে ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়ার ব্যাপারে হতাশ। তারা বলছেন, এই বছরের মজুদ বেশিরভাগই হাতিয়া, নোয়াখালী এবং অন্যান্য উপকূলীয় এলাকা থেকে আসছে।
মঙ্গলবার ইউএনবির প্রতিনিধি এলাকাটিতে উপস্থিত থেকে দেখেছেন হাতিয়া উপজেলা থেকে ইলিশ বহনকারী বেশ কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার এবং পিকআপ ভ্যান এসেছে বাজারে।
আরও পড়ুন: দুই মাস ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু
প্রবীণ ইলিশ ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বকাউল(৬৫)জানান, এখন ইলিশের ভরা মৌসুম চলছে। এসময় এই ঘাটে হাজার হাজার মণ ইলিশ আসার কথা, কিন্তু এবার ইলিশ খুবই কম আসছে। যে পরিমাণ ইলিশ আসছে তার বেশিরভাগ হাতিয়া থেকে, পদ্মা থেকে নয়।
ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, মঙ্গলবার প্রায় দুই হাজার মণ মাছ বাজারে এসেছে, কিন্তু সরবরাহ গত বছরের তুলনায় কম।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি মানিক জমাদার বলেন, এই বছর পদ্মায় ইলিশের সংখ্যা কম। ফলে জেলেরা নদী থেকে কাঙ্ক্ষিত ৪০-৫০ মণ মাছ ধরতে পারছে না, যার কারণে তারা খুব হতাশ।
আরও পড়ুন: বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৭ জেলের কারাদণ্ড
পদ্মা নদী থেকে মাছের সরবরাহ কম থাকায় পদ্মার ইলিশের দাম বেড়েই চলেছে। মাছ প্রতি পাইকারী দাম ১২০০ টাকা কেজি এবং খুচরা মূল্য ১৩০০-১৪০০ টাকা কেজি। অন্যদিকে হাতিয়ার মাছের ক্ষেত্রে কেজি প্রতি দাম এক হাজার টাকা।
সিলেট, হবিগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, ময়মনসিংহ এবং রাজধানীর ব্যবসায়ীরা প্রতি বছর ইলিশ কিনতে এই বাজারে ভিড় করেন।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা শেষে পদ্মা আড়িয়ালখাঁয় ইলিশ ধরছেন ফরিদপুরের জেলেরা
ইলিশ ধরার সর্বোচ্চ মৌসুম আগস্ট, সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরের বর্ষাকালে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মতে, ইলিশের উৎপাদন ২০০৮-০৯ সালে তিন লাখ মেট্রিক টন থেকে বেড়ে ২০১৭-১৮ সালে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন হয়েছে।
অন্যদিকে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় চলতি অর্থবছরে মাছের উৎপাদন ছয় লাখ মেট্রিক টন বাড়াতে ইলিশ মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
৩ বছর আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিসিবি ডিলারের ৬ মাসের কারাদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিসিবির পণ্য বিক্রয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে এক ডিলারকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি ৭হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার জলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার চত্বরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাফফাত আরা সাঈদ।
সাজাপ্রাপ্ত আব্দুর রহমান (৩৮) জেলা শহরের উত্তর পৈরতলার কাঞ্চন মোল্লার ছেলে ও মাইশা এন্টারপ্রাইজ নামের টিসিবির ডিলার।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ছেলের হাতে বাবা খুন
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাফফাত আরা সাঈদ জানান, জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার এলাকায় টিসিবির ডিলার মাইশা এন্টারপ্রাইজের পণ্য বিক্রয়ের সময় ব্যাপক অনিয়ম পাওয়া গেছে। প্রতিদিন যে বরাদ্দ ডিলারদের দেওয়া হয় এর মধ্যে ৭০০ কেজি চিনি, ৩০০ কেজি ডাল, ৫০০ লিটার তেল ট্রাক সেলের মাধ্যমে বিক্রয় করার কথা। কিন্তু বৃহস্পতিবার পণ্য বিক্রয়ের ট্রাকে আমরা গিয়ে ৪৫৯কেজি চিনি, ১০৯কেজি ডাল ও ১১২ লিটার তেলে ঘাটতি পেয়েছি।
কম পণ্য কেন বিক্রয় করা হচ্ছে, তা আমরা ডিলার কে জিজ্ঞাস করার পর তিনি স্বীকার করেন বেআইনী ভাবে পণ্য গুলো অন্য জায়গায় সংরক্ষণ করেছেন। তাই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ৪৫ ধারা মতে প্রতিশ্রুত পণ্য যথাযথ ভাবে বিক্রয় না করায় ডিলার আব্দুর রহমানকে ৬মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৭হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। পাশাপাশি তার ডিলারশিপ বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে সুপারিশ করা হবে।
আরও পড়ুন: বিয়ানীবাজারে আটক ২, হাজার ইয়াবা জব্দ
পরে ডিলারের নিজস্ব গোডাউনে লুকিয়ে রাখা বাকি পণ্যগুলোও টিসিবির ট্রাকে এনে বিক্রয় করা হয়।
৩ বছর আগে