দেশে খুব শিগগিরই জাপানের কাছ থেকে পাওয়া অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়া শুরু হবে । অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও টিকা কিছুদিনের মধ্যেই দেশে আসবে। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এই তথ্য জানান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত করোনা বুলেটিনে তিনি বলেন, অক্সফোর্ডের টিকা কার্যক্রম আমরা শুরু করেছিলাম, কিন্তু মাঝখানে টিকা সরবরাহের কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়। বর্তমানে বন্ধুপ্রতীম জাপানের কাছ থেকে কিছু টিকা পেয়েছি। আশা করছি শিগগিরই শুরু করতে পারবো।
আরও পড়ুনঃ কোভ্যাক্স থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ লাখ ডোজ টিকা পাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. নাজমুল ইসলাম আরও বলেন, সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপের কারণে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও কিছু টিকা কিছুদিনের মধ্যেই আমরা পেয়ে যাবো। দ্বিতীয় ডোজে টিকা নিয়ে শঙ্কায় থাকাদের আশঙ্কা আশা করছি অল্পদিনের মধ্যেই শেষ হবে।
এই টিকাগুলো অনেক আগে আসলেও এখনও কার্যক্রম শুরু না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে নাজমুল ইসলাম বলেন, অভ্যন্তরীণ কারণে আমরা এখনও শুরু করতে পারছি না। আমরা অপেক্ষা করছি আরও কিছু টিকা আসার।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন স্থগিতের কোনো পরিকল্পনা নেই: স্বাস্থ্য সচিব
তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ থেকে প্রতিটি মানুষ যতদিন না সুরক্ষিত হবে, ততদিন আমরা কেউই শঙ্কামুক্ত নই। তাই সবাইকেই সংক্রমণ মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে হবে। আর সুরক্ষার অন্যতম হাতিয়ার টিকা। এছাড়াও মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ সব ধরনের চেষ্টা আমাদের চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সারাদেশের মধ্যে সংক্রমণের শীর্ষে অবস্থান করছে ঢাকা জেলা। আর সবচেয়ে কম সংক্রমিত হয়েছে রাজশাহী জেলায়। গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসের নমুনা পরীক্ষা ও রোগী শনাক্তকরণের হার বিবেচনায় এ তথ্য ।
আরও পড়ুনঃ অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রয়োগ অব্যাহত রাখুন: ডব্লিউএইচও
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ঢাকা জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ লাখ ১৯ হাজার ১২৮ জন। ঢাকার পরে অবস্থান বন্দরনগরী চট্টগ্রামের। সেখানে এখন পর্যন্ত ৭৪ হাজার ১৯৩ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর সবচেয়ে কম রোগী এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে রাজশাহীতে। সেখানে মোট ১৮ হাজার ৮০৮ জন রোগী আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, গত ২৩ জুলাই থেকে দেশে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে, সেক্ষেত্রে সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে দায়িত্ববান হতে হবে। আমাদের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ববান আচরণ করতে হবে। তা হলেই আমাদের কর্মসূচিগুলো সফলতার মুখ দেখবে।