পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হাটে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ইজারাদারদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। পশুবাহী ট্রাক জোর-জবরদস্তি করে কোনো হাটে না নামানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা ও প্রত্যেকটি হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণের লক্ষ্যে মেশিন স্থাপনে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, খুলনা মহানগরীর জোড়াগেটে খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) পরিচালনায় আগামী মঙ্গলবার থেকে পশুর হাট বসবে। জোড়াগেট পশুর হাটের প্রস্তুতি চলছে। এখানে নিরাপত্তার জন্য কেএমপি’র এক প্লাটুন পুলিশ থাকবে। সিসি ক্যামেরারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোরবানির আগের রাত পর্যন্ত হাট চলবে।
প্রাণিসম্পদ ও জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, যে সব স্থানে পশুর হাট বসবে সেগুলো হচ্ছে রূপসা উপজেলার পূর্ব রূপসা, দুর্জনীমহল, আমতলা, দক্ষিণ খাজাডাঙ্গা হাতেম তলা, আলাইপুর ব্রিজের নিচে, তেরখাদা উপজেলার ইখুড়ি কাটেঙ্গা, বিলদুরিয়া, দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর হরিপদ মাঠ, পথেরবাজার হাইস্কুল মাঠ, এম এ মজিদ কলেজ, মোল্লাডাঙ্গা, মোল্লা জালাল উদ্দীন কলেজ মাঠ, ফুলতলা উপজেলার তাজপুর, ডুমুরিয়া উপজেলার শাহপুর, খর্ণিয়া, চুকনগর, বানিয়াখালি কলেজ মাঠ, আঠারোমাইল, দাকোপ উপজেলার চালনা বাজার, বাজুয়া বাজার, পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালি, কাশিমনগর, গদাইপুর, বাকা বাজার, পাইকগাছা জিরো পয়েন্ট, কয়রা উপজেলার ঘুগরাকাটি ইসলামপুর, বাগালী ইউনিয়ন পরিষদ মাঠ, দেউলিয়া, উত্তর বেদকাশী কাছারি বাড়ি, গিলেবাড়ি, হায়াতখালী, বামিয়া ইসলামপুর, কয়রা জিআইবি ক্লাবের মাঠ, বটিয়াঘাটা উপজেলার খারাবাদ বাইনতলা, ভান্ডারকোট, বারোআড়িয়া ও উপজেলা সদর।
খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. আনিচুর রহমান জানান, কোরবানির পশুর হাটে তিনস্তরের পুলিশি নিরাপত্তা থাকবে। প্রথমত সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে। দ্বিতীয়ত হাটে পুলিশ ক্যাম্প, তৃতীয়ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
তিনি বলেন, বড় বড় হাটগুলোর পাশে পুলিশের টহল থাকবে। কোনোক্রমেই পশুবাহী ট্রাক জবরদস্তি করে কোনো হাটে নামানো যাবে না। অজ্ঞান ও মলম পার্টি দমনে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্থায়ী পশুর হাট বাদে ছয়টি অস্থায়ী হাটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। গত ২১ জুলাই জেলা প্রশাসন আয়োজিত ঈদুল-আজহার প্রস্তুতি সভায় বলা হয়, বিনা অনুমতিতে যত্রতত্র পশুর হাট বসানো যাবে না। অননুমোদিত পশুর হাটের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকায় গরুর হাট স্থাপন করা যাবে না। প্রস্তুতি সভার অপর এক সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে পশুর হাট কর্তৃপক্ষকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জেনারেটর চালু রাখা প্রয়োজন। এছাড়া কেএমপি কমিশনার ও পুলিশ সুপারের হট লাইন নাম্বার জনগণকে অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে।