অস্থিতিশীল বৈদেশিক মুদ্রার বাজার। মঙ্গলবার খোলা বাজারে মার্কিন ডলারের দাম ১০১ টাকায় পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার, বেশ কয়েকটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান অভিযোগ করেছে যে তারা উচ্চ মূল্যের কারণে মার্কিন ডলার কিনতে পারছে না।
অন্যদিকে, ব্যাংকগুলোও এদিন প্রতি মার্কিন ডলার বিক্রি করে ৯২ টাকা থেকে ৯৩ টাকায়। তবে খোলা বাজারে ডলারের দাম আরও বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে ব্যাংকের বাইরে ডলার পাওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: দেশের মাথাপিছু আয় বেড়ে ২৮২৪ মার্কিন ডলার
ডলার আমদানি বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘মঙ্গলবার খোলা বাজার থেকে এক মার্কিন ডলার কিনতে আমাকে ১০০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০১ টাকা দিতে হয়েছে। সোমবার ডলার বিক্রি হয়েছে ৯৭ দশমিক ২০ টাকা এবং ৯৭ দশমিক ৩০ টাকায়। ’
তিনি ইউএনবিকে বলেন, প্রতিদিন ডলারের দাম বাড়ার কারণে কেউ কেউ খোলা বাজার থেকে কিনে নিয়ে ডলার মজুদ করে, যার কারণে খোলা বাজারে ডলারের দাম বাড়ছে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী, জনতা, অগ্রণী ব্যাংকগুলো প্রতি মার্কিন ডলার বিক্রি করেছে ৯২ টাকা থেকে ৯২ টাকা ৫০ পয়সায় এবং বেসরকারি খাতের ইস্টার্ন ব্যাংকও বিক্রি করেছে ৯২ টাকা ৫০ পয়সায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘মুক্ত বাজার অর্থনীতি এখন বাজার পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে রপ্তানির তুলনায় আমদানি বেশি চাপে রয়েছে।’ এমতাবস্থায় ব্যাংকগুলো বৈদেশিক মুদ্রার ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে পারছে না, এ কারণে ডলারের দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানান তিনি।
করোনা শনাক্ত কমে গেলেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সরবরাহ এবং সরবরাহের খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী পণ্যের দাম বৃদ্ধি হয়েছে।
ফলস্বরূপ, ডলারের চাহিদা বেড়ে যায় এবং বিশ্বের অন্যান্য মুদ্রার মতো বাংলাদেশি টাকার মান কমতে থাকে।
আরও পড়ুন: এপ্রিলে রেকর্ড ২.০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পেল বাংলাদেশ