বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে বিদেশিদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীরা যখন ক্ষমতায় আসল, তাদের যখন বিচার হল না, তখন মানবাধিকার ক্ষুন্ন হয়নি? তারা তারা তখন গণতন্ত্র নিয়ে কিছু বলেনি। এখন আমাদের নানা রকম ছবক দেয়।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে শিশুপুত্র রাসেলসহ বঙ্গবন্ধুকে করা হলো নৃসংশভাবে, তখন মানবাধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে কি না সে প্রশ্নও তোলেন মন্ত্রী। ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা ফিরে এসে নিহত বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের জন্য সেই বাড়িটিতে একটু দোয়া পড়তে চেয়েছিল, তাকে তা করতে এবং বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তখনও মানবাধিকার ক্ষুন্ন হয়নি! সেসব ঘটনা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কীর্তির উপর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানে হানাদার বাহিনীর যে ৯৫ হাজার আত্মসমর্পন করেছিলন, সে আত্মসমর্পনকারীদের মধ্যে বাঙালি নামধারী কিছু কুলাঙ্গার পাকিস্তানি সেনা অফিসার ছিল। এই রকিবুল হুদা ছিল তার মধ্যে একজন।
তিনি বলেন, অতএব সে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যার চেস্টা করবে এটাই স্বাভাবিক। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যার জন্য কমপক্ষে ২১ বার চেষ্টা করা হয়েছে।
দীপু মনি আরও বলেন, যখন ২০০১ সালে অব্যাহতভাবে মাসের পর মাস সারা বাংলাদেশকে বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাসীরা মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছিল। যখন মহিমা, ফাহিমা, পুর্নিমা, লতিফা তাদেরকে একের পর এক ধর্ষণ এবং গণধর্ষণ করা হয়েছিল, তখন কোথায় ছিল মানবাধিকার।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: দীপু মনি
নির্বাচনের আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সম্ভব নয়: দীপু মনি